7:01 pm , June 7, 2018

রুবেল খান ॥ বিসিসি’র ১০ নং ওয়ার্ডটি বরিশালের ভিআইপি জোন হিসেবে পরিচিত। কেননা এখানে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বসবাস। তার মধ্যেই ওয়ার্ডের অধিনে থাকা চারটি কলোনীতে (বস্তি) দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। পেছনে থেকে যার নেতৃত্ব ও মাসোহারা আদায়ের অভিযোগ খোদ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তবে এবারের সিটি নির্বাচনে ১০নং ওয়ার্ডে মাদক ও মাদকের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে লড়বেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই ওয়ার্ডটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান আলোচিত কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন সহ পাঁচ জনের নাম শোনা গেছে। যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর এবং ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের বিরোধীতাকারী সমাজসেবকও। অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন- ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এটিএম শহিদুল্লাহ কবির, জাকিরুল ইসলাম বাপি, ডা. মাওলানা আব্দুর রহমান ও শাহজাহান সিরাজ। এদের মধ্যে বিএনপি ঘরানার শাহজাহান সিরাজ এর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভোটারদের মধ্যে প্রার্থী হিসেবে তিনি আলোচনায় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নগরীর মধ্যে অন্যতম মাদকের জোন হিসেবে পরিচিত কেডিসি, ভাটারখাল ও বরফকল ও হিরণ নগর নামক বস্তি। বিশেষ করে কেডিসি আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি কলোনী, ভাটার খাল ও বরফ কল বস্তিতে হাত বাড়ালেই মেলে সব ধরনের মাদক। ছোট বড় প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। ঘনবসতি হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করেও তেমন সুবিধা করতে পারছে না। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে পেছনে থেকে নিজ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে।
মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, কেডিসি, বরফকল কিংবা ভাটারখাল বস্তিতে মাদক ব্যবসার স্বপক্ষে কাজ করছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। বিনিময়ে প্রত্যেক মাদক ব্যবসায়ী সর্বনি¤œ ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসোহারা পেয়ে থাকেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। যে মাদক ব্যবসায়ী যে কয় প্রকারের মাদক বিক্রি করবে সে অনুযায়ী তাকে মাসোহারা দিতে হয়। বর্তমানে দেশব্যাপী মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের মধ্যেও মাদক ব্যবসার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। যারা মাসোহারা না দেবে তাদেরকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে সূত্র বলছে, সম্প্রতি দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান শুরু এবং ক্রসফায়ারে এক কাউন্সিলর নিহত হওয়ার খবরে কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন জয়নাল। মাত্র ক’দিন আগেই তিনি ফের প্রকাশ্যে চলে আসেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। অবশ্য তজবী হাতে জয়নাল বরাবরই নিজেকে মাদক বিরোধী আল্লাহওয়ালা লোক হিসেবে অন্যের কাছে জাহির করে আসছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কাউন্সিলর হওয়ার আগে থেকেই মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট জয়নাল আবেদিন। তবে ২০১৩ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পরে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা ও মাসোহারা আদায়ের জন্য তিনি গঠন করেন একটি কমিটি। যার নাম দেয়া হয়েছিলো মাদক বিরোধী কমিটি। কিন্তু এই কমিটি নিয়ে বিতর্কে পড়তে হয় জয়নালকে। ফাঁস হয়ে যায় কমিটি গঠনের মাধ্যমে তার মাদক বাণিজ্যের গোপন তথ্য। তাই ওই কমিটি আর বেশিদিন টেকেনি।
এর বাইরে এলাকার হাতুড়ী জয়নাল হিসেবে পরিচিত বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন এর বিরুদ্ধে রয়েছে সুদের ব্যবসা ও দখলবাজির এন্তার অভিযোগ। বান্দ রোডে থাকা তার মালিকানাধীন আবাসিক হোটেলে পতিতা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে জয়নালের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ইতিপূর্বে বহু পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে প্রশাসনিক চাপে হোটেলের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন জয়নাল। কিন্তু অবৈধ ব্যবসার পরিবর্তন হয়নি।
বিশেষ করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পরে কেডিসিতে নিজ ঘরের সামনে থাকা বাস্তহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলের পায়তারা চালায় জয়নাল আবেদীন। সেখানে টিনের ঘরও তোলেন তিনি। তৎকালীন সময় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে জয়নাল আবেদীন ও তার মাদক বাহিনীর রোষানলে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। বিষয়টি নিয়ে দেশ ব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জয়নালকে দখল মুক্ত করে দিতে হয় স্কুলের মাঠ। এসব ছাড়াও আরো বহু অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলর জয়নালের বিরুদ্ধে। কেডিসিতে প্রবেশ পথে দুই পাশের ফুটপাত ভাড়া দিয়ে চাঁদাবাজী এমনকি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের নামে এলজিইডি সীমানা প্রাচীরের পাশেই জমি দখলের পায়তারা চালায় জয়নাল। যা নিয়ে ইতিপূর্বে বহু পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না বিধায় ওয়ার্ডের জনগন আমাকে ভোট দিয়ে বার বার নির্বাচিত করে। আমি কাউন্সিলর হয়ে টেন্ডারবাজি করি না। মাদকের গডফাদারদের শেল্টার কিংবা সালিশি করে টাকা খাই না। এজন্যই ২০০৩ সালে প্রথম সিটি নির্বাচনে ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে। এর পর ২০০৮ সালেও নির্বাচনে অংশ নেই। কিন্তু তখন মাত্র ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলাম। সর্বশেষ ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেই। তখন বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছি। আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা ব্যক্ত করে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, নির্বাচন করার কোন ইচ্ছা আমার নেই। মানুষ যেসব কথা বলে তা শোনার মত নয়। তার পরেও বস্তিবাসীর মুখের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে। কেননা আমি কাউন্সিলর না হলে ইতিপূর্বে কেডিসি বস্তি আর থাকতো না। ইতিপূর্বে বহুবার বস্তি উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা আমার কারনে পেরে ওঠেনি। আমার কারণেই এই বস্তি ও বস্তির মানুষ রক্ষা পেয়েছে। বস্তির মানুষের আস্থা আমার উপরেই রয়েছে।
এদিকে ১০নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ কবির। ইতিপূর্বে ২০০৮ সালে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি এটিএম শহীদুল্লাহ কবির নির্বাচন পরবর্তী শওকত হোসেন হিরন’র হাত ধরে দল পরিবর্তন করেন। এর পর মহানগর আ’লীগের সদস্যও হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ অনুসারী হয়ে দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে পরাজিত হন তিনি।
আলাপকালে সাবেক কাউন্সিলর ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক এটিএম শহীদুল্লাহ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। তাছাড়া জননেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ-এমপি অনেক আগে থেকেই আমাকে দলে আসার জন্য বলেছেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়েই তখন দল ত্যাগ করেছিলাম। দল পরিবর্তনের সেই প্রভাব পড়ে ২০১৩ সালের নির্বাচনে। তৎকালিন সময়ে দেশ ব্যাপী হেফাজত ইসলাম ইস্যু’র পাশাপাশি বিএনপি ত্যাগ করে আ’লীগে যোগদান করায় কিছু সংখ্যক লোক আমাকে ভোট দেয়নি। কিন্তু ১০নং ওয়ার্ডে বর্তমানে যেসব উন্নয়ন দৃশ্যমান তার সব কিছুই আমার আমলে হয়েছে। এসব উন্নয়নের পেছনে আমারও অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, কেডিসি কলোনীতে রাস্তা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছি। মুক্তিযোদ্ধা পার্ক নির্মানে আমার অবদান কোন অংশে কম নেই। চাঁদমারী রাস্তা, রাজ্জাক স্মৃতি কলোনী নামকরন সহ সব ধরনের উন্নয়নই আমি করেছি। যা গত পাঁচ বছরে হয়নি। এসব উন্নয়নের কারনেই জনগন নতুন করে আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চাচ্ছে। আমি জনগনের দাবী পুরনের জন্যই পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। আশা করছি দল অবশ্যই আমাকে সেই সমর্থন দিবে। ১০নং ওয়ার্ড থেকে আমি মাদক মুক্ত করবো।
অপরদিকে ১০নং ওয়ার্ডে কোন ব্যক্তি’র বিরুদ্ধে নয়, বরং মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষনা দিয়েছেন পুলিশ লাইন রোডস্থ আমবাগান এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম বাপি। যিনি মাদক তো দুরের কথা ধুমপান বা তামাকজাত দ্রব্য থেকেও নিজেকে সুরক্ষা করে চলেছেন। শিক্ষিত, মার্জিত ও ভদ্র পরিবারের সন্তান বাপি ইতিপূর্বে আরো দু’বার ১০নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু মাদক সিন্ডিকেট তার জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায়। তার পরেও আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন জাকিরুল ইসলাম বাপি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে ১০নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাকিরুল ইসলাম বাপি। এর পর ২০১৩ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। নির্বাচনের পূর্বে তিনি আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রান হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং তার আগে একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাপি। ২০১৩ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন’র উপর রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তি হয়ে দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান দেন তিনি। দলের নিবেদিত প্রান হয়েও আওয়ামী লীগে মূল্যায়ন না পাওয়া ও জাতীয় পার্টি থেকে আসা নেতাদের নিয়ে তৎকালিন মেয়র হিরনের অতি বাড়িবাড়িই বাপি’র ক্ষোভের কারন ছিলো। যে কারনে তিনি আ’লীগ ছেড়ে বিএনপি’র হয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অবশ্য কেউ কেউ বলছে, বিএনপি’র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতেই বাপি ওই সময় বিএনপিতে যোগ দেন।
জানতে চাইলে জাকিরুল ইসলাম বাপি বলেন, ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে দুই বছর আ’লীগ থেকে দূরে ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র আহ্বানে পুনরায় আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছি। কেননা তিনি কর্মীদের মূল্যায়ন করতে জানেন।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ভোটের সময়েই দেখা যায়। কিন্তু আমি ভোটের পরেও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ১০নং ওয়ার্ডের অসহায় মানুষের ভালো-মন্দের খোঁজ খবর নিয়েছি। সামর্থ মত তাদের সহযোগিতা দিয়েছি। যার পেছনে অনুপ্রেরনা ছিলেন যুবরতœ সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তার সহযোগিতায় ১০নং ওয়ার্ডের অধিনস্ত আমবাগান সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি। যা করার দায়িত্ব ছিলো ওয়ার্ড কাউন্সিলরের। বৃহত্তর কেডিসি কলোনী বাসির পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তাদের শেষ সম্বল ভিটা-মাটি রক্ষায় কলোনীর অসহায় মানুষের হয়ে নিজ অর্থে জমি সংক্রান্ত মামলা পরিচালনা করেছি। ওয়ার্ডের জনগন আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চায়। কারন আমি ওয়ার্ডের অন্য কাউন্সিলরদের মত মাদক ব্যবসার ভাগ কিংবা সালিশি করে চাঁদা আদায় করি না। এবারের নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দল থেকে যদি আমাকে সমর্থন দেয়। আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না।
এদিকে অন্যান্য ওয়ার্ডের মতই ১০নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এই ওয়ার্ডে দলের হয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মডেল উত্তর থানার সহ-সভাপতি ডা. মাওলানা আব্দুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানাগেছে। এছাড়া বিএনপি’র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাচ্ছেন শাহজাহান সিরাজ। যিনি বিগত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালের ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে প্রচার-প্রচারনা থেকে এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।