3:44 pm , December 25, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ‘সারা বিশ্বে যীশু খ্রীস্টের জন্মদিনে নেমে আসুক শান্তির বার্তা’ এমন কামনায় বরিশালে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বড়দিন। নগরীর খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা একে অপরের সাথে সৌহার্দ্য ও সম্পৃতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মিলে মিশে পালন করেছে দিনটি। বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে ছিল যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, বিশেষ প্রার্থনা, ভোগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন আয়োজন। বরিশালে মূল আনুষ্ঠিকতা শুরু হয় মঙ্গলবার রাতে মহাখ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে। নগরীর প্রতিটি গীর্জায় একই সময়ে উপাসনা শুরু হয়। গীর্জাগুলোতে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন খ্রীষ্ট ভক্তরা। প্রার্থনা ও সংগীতে গীর্জাগুলো মুখর হয়ে ওঠে যীশু বন্ধনায়। প্রার্থনায় দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বিরা একে অপরের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বড় দিন উপলক্ষে গীর্জাগুলো সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে। যীশুর জন্মস্থানের আদলে স্থাপন করা হয়েছে গো শালা। বড়দিনের এই উৎসবে সবার প্রত্যাশা দলমত ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সম্প্রতি আরো সুদৃঢ় হবে। শান্তি বিরাজমান হবে গোটা দুনিয়ায়। শেষ হবে যুদ্ধ বিগ্রহ।
ক্যাথলিক, অক্সফোর্ড এবং ব্যাপ্টিস্ট গোত্রের বিভিন্ন চার্চে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই নানা বয়সি দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি। পরিবারের সকলে মিলে পালন করেছে দিনটি। সকলেই রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা সহ অংশ নিয়েছে নানা ধর্মীয় আয়োজনে। সকালে প্রতিটি চার্চে যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিনে কাটা হয়েছে কেক। প্রার্থনা ও সংগীতের পরে ছিল ভোজের আয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর থেকেই বর্নিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছিল চার্চ সহ আশপাশের পুরো এলাকা। শুধু চার্চ ই নয় বড়দিন উপলক্ষে নগরীর নামিদামি সকল রেস্তোরাগুলোতেও ছিল বড়দিনের আদলে সাজসজ্জা ও বিশেষ আয়োজন। এছাড়া বিভিন্ন খ্রীষ্টান কলোনীগুলোতে দিনটি উদযাপন করতে আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মত। শিশুদের জন্য সান্টা ক্লোজ এসেছিল বিশেষ উপহার নিয়ে। সব মিলিয়ে দিনটি উদযাপনে গোটা নগরীতেই ছিল উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল বেশ ভালই। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় শুধু খ্রীষ্টানরাই নয় সকল ধর্মের অনুসারীরাই দিনটি উদযাপন করেছে যে যার মত করে। অন্যদিকে বড়দিনের আয়োজন নির্বিঘœ করতে জোরদার ছিলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি চার্চে ছিল পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা। উল্লেখ্য, বরিশালে ক্যাথলিক, অক্সফোর্ড এবং ব্যাপ্টিস্ট গোত্রের খ্রীষ্টান রয়েছে। নগরী এবং জেলার ১০ উপজেলায় প্রায় ১১০টি চার্চে বড়দিনের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।