4:26 pm , March 28, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর বাণিজ্যিক চকবাজার এলাকায় জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার দুপুরে জোহরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রবিউল আল আমীন জানিয়েছেন।
জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের সাধারন সম্পাদক মো. সামসুল আলম জানান, জোহরের ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতের সেজদায় ছিলো মুসুল্লীরা। এ সময় ধোয়া উঠতে দেখে নামাজ ছেড়ে দেয়ার জন্য ইমামকে আহবান জানায় এক মুসুল্লী। তখন ইমাম নামাজ ছেড়ে দিয়ে সকল মুসুল্লীরা আস্তে আস্তে বের হয়। দ্রুত মসজিদের বৈদ্যুতিক বাতিসহ সকল কিছু বন্ধ করে ফায়ার সার্ভিস খবর দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা, মুস্ল্লুী ও স্থানীয়রা দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেছে।
সাধারন সম্পাদক আরো জানান, ওমরাহ হজ্বে যাওয়া মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা নুরুর রহমান বেগের কক্ষের এসি বিস্ফোরনে এ ঘটনা ঘটেছে। কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তিনি না এলে বলা যাবে না।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লীরা জানিয়েছেন, জোহরের ফরজ নামাজ শুরু পূর্বে দোতলার একটি এসি চালুর জন্য মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু দেয়। তখন স্পার্ক করলে সুইচ তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর সবাই নামাজে দাড়ালে কিছুক্ষনের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায় খতিবের কক্ষ থেকে ধোয়া ও এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলছে। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, মুসল্লীরা নিরাপদে মসজিদ থেকে নেমেছে। এ আগুনে শুধুমাত্র পেশ ইমাম ও খতিবের কিছু বই ও আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশাল সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমীন জানান, মুসল্লীদের তথ্যানুযায়ী একটি এসি থেকে বিকট শব্দ হওয়ার পরপরই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তিনি বলেন, ব্যস্ততম এই ব্যবসায়ীক এলাকায় বড় ধরণের কোন বিপদ ঘটেনি, অল্পতে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা গেছে। এমনকি আল্লাহ রহমতে কোন হতাহতের ঘটনাও নেই।##