বাকেরগঞ্জ এলাকার সকল মানুষের উন্নয়ন নিয়েই আমার স্বপ্ন -এমপি হাফিজ মল্লিক বাকেরগঞ্জ এলাকার সকল মানুষের উন্নয়ন নিয়েই আমার স্বপ্ন -এমপি হাফিজ মল্লিক - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জ এলাকার সকল মানুষের উন্নয়ন নিয়েই আমার স্বপ্ন -এমপি হাফিজ মল্লিক

4:21 pm , March 25, 2024

মো. পলাশ হাওলাদার, বাকেরগঞ্জ প্রতিবেদক  ॥ বরিশাল জেলার মধ্যে অন্যতম উপজেলা হচ্ছে বাকেরগঞ্জ। একসময় বাকেরগঞ্জ ছিল জেলা শহর। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে জেলা। কিন্তু বরিশালবাসীর সকলের মুখে মুখে বাকেরগঞ্জ নামটি যেন চিরচেনা। আর সেই বাকেরগঞ্জ এলাকাটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। এখানে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন সংসদ সদস্য ছিল না। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক নৌকার প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার আগে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বলছিলেন‘ বাকেরগঞ্জ নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। বাকেরগঞ্জকে আধুনিকায়নের রূপ দিতে তিনি বদ্ধপরিকর’।  তাই নির্বাচনকালীন সময়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া বিভিন্ন উন্নয়নের দিকে ইতিমধ্যে হাত বাড়িয়েছেন। গতকাল সোমবার ২৫ মার্চ বাকেরগঞ্জ উপজেলার যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে আশ্বস্ত করেন এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলায় নষ্ট হয়েছে। তাই এখানে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাগ্রত করবো এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। এতে জনগণের সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে অনেক এগিয়ে যাবো আমরা। বাকেরগঞ্জ হবে বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিক বলেন, এলাকার সকল মানুষের উন্নয়ন নিয়েই আমার স্বপ্ন। বিগত ২০ বছর ধরে আমার কাছে উন্নয়নের কথা বলতে হয়নি। এই মাটির সন্তান হিসেবে কোথায় কি কাজ করতে হবে নিজে থেকেই খুঁজে বের করেছি। সাধ্যের সর্বোচ্চটাই উজার করে দিয়েছি। বাকী জীবনটুকুও জনগণের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে শেষ করতে চাই। নৌকায় ভোট দিয়ে এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা বলেন, বাকেরগঞ্জের মানুষ সুবিধাবঞ্চিত ছিল দীর্ঘদিন যাবত। তাই বাকেরগঞ্জের মানুষ এবার আশার আলো দেখছেন আমাদের এমপি আব্দুল হাফিজ মল্লিক এর কাছ থেকে। আমরা আশা করি তার হস্তক্ষেপে বাকেরগঞ্জ যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি নতুন রূপে প্রাণ ফিরে পাবে। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত আবাসিক সুবিধা সম্পন্ন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৯৬ সাল থেকে বরিশালের ১০ উপজেলার বেকার যুবকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কেন্দ্রটিতে। বর্তমানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সংস্কার না হওয়ায় দিনে দিনে ধ্বংসস্তূপে রূপ নিচ্ছে। কেন্দ্রটির সব সুবিধা পেতে ন্যূনতম একটি ফি (অফেরত যোগ্য ১৩০ টাকা ও ফেরতযোগ্য জামানত ১০০ টাকা) দিয়ে ভর্তি হতে হয় প্রশিক্ষণার্থীদের। এরপর আবাসিকে থাকা-খাওয়াসহ প্রশিক্ষণের সব ধরনের খরচ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় করা হয়ে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির (যুব ভবন) সংস্কারের প্রয়োজন। কেন্দ্রটির একাডেমিক ভবনের ক্লাসরুমসহ নিচ তলার ফ্লোরের বেশিরভাগ জায়গা দেবে গেছে। টিনশেড একাডেমিক ভবনের সিলিংয়ে ব্যবহৃত বোর্ড ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভাঙ্গা দরজা-জানালায় ও বাথরুমগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাথরুমের পাইপগুলো ছিদ্র হয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্র হোস্টেল। ছেলেদের জন্য তিনতলা আবাসিক হোস্টেলের জানালা ও বারান্দার লোহার গ্রিলগুলো মরিচা ধরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। এমনকি আবাসিক হোস্টেলের রুমগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনের অনেক কলামের ঢালাইয়ে ধরেছে ফাটল। এছাড়া ভবনগুলোর বেশিরভাগ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। টয়লেটের পাইপগুলো ছিদ্র হয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে। তিনতলার ছাদে বৃষ্টির পানি জমে চুইয়ে চুইয়ে নিচের রুমে ঝড়ে পড়ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে কেন্দ্রটির দোতলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল ও কর্মকর্তাদের ডরমেটরিতে। ছাত্রদের সরকারিভাবে বিছানা, চেয়ার-টেবিল, তোষক ও ফ্যান দেওয়া হলেও সেগুলো অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। এতো খারাপ অবস্থার মধ্যে ছাত্ররা আবাসিক হোস্টেলে থাকলেও ছাত্রীরা থাকেন কেন্দ্রটির বাইরে। যদিও ছাত্রী হোস্টেলের নিচ তলায় পাঁচশ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে কেন্দ্রটির দু’জন কর্মচারীর পরিবার কোনোভাবে থাকছেন। একইভাবে ডরমেটরির দোতলায়ও কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা দু’টি ফ্ল্যাটে থাকছেন। সীমানা প্রাচীর থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির গার্ডরুম, পানির পাম্প রুম, মসজিদসহ সবকিছুরই বেহাল দশা। এমনকি প্রশিক্ষণার্থীদের ব্যবহারিকের জন্য তৈরি গোয়াল ঘর, হাঁস-মুরগির শেড, হ্যাচারি-পানির ট্যাংকি সবকিছুই ধ্বংসস্তূপে পরিণত   হচ্ছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির পুরো এলাকাতেই জঙ্গলের কারণে রাস্তা দিয়ে হাঁটা-চলাও দায়। এর কারণ হিসেবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির দায়িত্বরতরা বলছেন, প্রলংকারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির বেহাল দশা শুরু হয়। ওই সময় কেন্দ্রটির ভেতরের গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থাপনার নিচের মাটি সরে যাওয়া ও সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পড়াসহ কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সীমানা প্রাচীর সংস্কার করা হলেও অন্য স্থাপনায় কোনো কাজ হয়নি। ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রটিতে প্রশিক্ষণ চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কারই সরকারিভাবে করা হয়নি। আর সংস্কার না হওয়ার কারণে এখন অনেক উদ্যোগ নিতেই ভয় পাচ্ছেন দায়িত্বরতরা। কেন্দ্রটিতে ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনের যে জনবল রয়েছে সেখানেও গার্ড, ক্লিনার ও মালি পদে কেউ নেই। আবার বাবুর্চি পদে বেশ কয়েকজন জনবল থাকলেও সেখানে রান্নার মান নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT