3:01 pm , January 14, 2024

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি॥ ঝালকাঠিতে শীতে জবুথবু নদী পাড়ের মানুষ। নদী মাতৃক দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠি শহরটি ৩ দিক থেকেই নদী বেষ্টিত। দক্ষিণে সুগন্ধা, পশ্চিমে গাবখান ও পূর্ব দিকে সুতালড়ি। ঝালকাঠি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বুক চিরে বয়ে গেছে এ ৩টি নদী। বর্ষাকালে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে অনেক বসতভিটা তলিয়ে যায়। আর শীতকালে নদীর শীতল বাতাসে নি¤œ আয়ের মানুষের প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়।
কয়েকদিনের তীব্র শীতে নদী তীরবর্তী উপকূলের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকাল এবং সন্ধ্যায় খড় অথবা আবর্জনা পাতায় আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। শনিবার রাত ৮টার দিকে এমনটাই দেখা গেলো বিষখালী নদী তীরবর্তী দেউরি গ্রামে। সুগন্ধা নদীর তীরে নাজমা বেগমের ঝুপড়ি ঘরে উত্তরা বাতাসের শীতল প্রবাহ। হাসিনা বেগমের নিচু ঘরে মাথার ওপরে থাকা টিনের চালা দিয়ে ক্রমাগত ঝড়ে শিশিরের ফোটা।
আবার আজিজ হাওলাদার ঘরের সবগুলো কাঁথা একত্রিত করেও শীত নিবারণ করতে পারছেন না। এভাবেই নদী তীরবর্তী উপকূল অঞ্চলের হাজারো মানুষ এবারের তীব্র শীতে কাতর। শির শির বাতাসে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও দিনমজুর মানুষের। সকালে কাজে যেতে পারছে না নি¤œ আয়ের মানুষ।
ঘন কুয়াশায় সূর্যের মুখ দেখতে না পাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষদের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে গেছে। রিক্সা চালক জব্বার জানান, “তিন দিন যাবত তীব্র শীতে গাড়ী চালাতে পারি না। বাসায় বাজার চলছে না।”
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে ঝালকাঠিতে দিনের বেলায় তাপমাত্রা ১৮ডিগ্রি ও রাতের বেলায় ১৪ ডিগ্রি উঠানামা করছে। এরকম চলবে আরো কয়েকদিন।