নেছারাবাদে বাল্য বিয়ে বন্ধ মুচলেকায় মুক্ত ছেলের বাবা নেছারাবাদে বাল্য বিয়ে বন্ধ মুচলেকায় মুক্ত ছেলের বাবা - ajkerparibartan.com
নেছারাবাদে বাল্য বিয়ে বন্ধ মুচলেকায় মুক্ত ছেলের বাবা

3:39 pm , March 10, 2023

নেছারাবাদ প্রতিবেদক ॥ নেছারাবাদ উপজেলায় বরছাকাঠিতে দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছেলের বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস পাল। জরিমানা দিয়ে মুচলেকায় মুক্তি পেলো ছেলের বাবা। ছেলে শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বয়স ১৬ বছর । মেয়ে সোহাগদল শামসুন্নাহার হালিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছেলে মেয়ে পালিয়ে যাওয়া থেকে ফিরিয়ে এনে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ সিদ্ধান্ত মতে, মেয়ের ছোট ভাইয়ের ছুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠানের অন্তরালে বাল্য বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ দুপুরে বরছাকাঠিতে মেয়ের বাবা সাইদুল ইসলাম এর বাড়িতে তার ছেলের সুন্নাতে খাতনার অন্তরালে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন।এবং ছেলের বাবা ওমর ফারুক লোকজন নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলো।
ঐ সময় সাংবাদিকরা বিয়ের খবর পেয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুব উল্লাহ মজুমদারকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাপস পালকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন। ভূমি কর্মকর্তা দ্রুততার সঙ্গে সোহাগদল ইউনিয়ন ভুমি অফিস কর্মকর্তা রিয়াজ হোসেনকে বিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে ছেলে মেয়ে উভয় পরিবারকে নেছারাবাদ উপজেলা ভুমি অফিস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।
ভুমি অফিসে উপস্থিত মেয়ের চাচা জানান, ছেলে মেয়ে উভয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারা দুইবার পালিয়ে গিয়েছিল। এলাকার চেয়ারম্যান এবং লোকজন মিলে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে মান সম্মানের কথা ভেবে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা, পরবর্তীতে এই বিবাহের আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই সহকারী কমিশনার উভয় পরিবারকে ডেকে পাঠান।
মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ের ঐ ছেলের সাথে একবার পালিয়ে গিয়েছিল। মান সম্মানের কথা ভেবে আমি বিয়ে দিতে রাজি হয়েছি। কিন্তু ছেলের যে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি সেটা আমার জানা ছিলো না। সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিষেধ করায় বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।
বেলা তিনটার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছেলে মেয়ের কাগজ পত্র অনলাইনে পর্যবেক্ষন করেন দেখেন। মেয়ের বয়স ১৮ বছর ৪ মাস পূর্ণ হলেও ছেলের বয়স ১৬ বছর ৭ মাস। তাই ছেলের বাবাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ২০১৭/৮ ধারায় দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ছেলের বয়স ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, কোন অবস্থাতেই ছেলে ২১ বছর এবং মেয়ে ১৮ বছর এর পূর্বে বিয়ে দেয়া যাবেনা। আমি এ পর্যন্ত অত্র উপজেলা আসার পর থেকে দশটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছি। নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন কোন অবস্থাতে বাল্য বিবাহের ছাড় দেয়া হবেনা। যারা এ কাজে সহযোগিতা করবে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।আগামীতেও বাল্যবিবাহ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT