সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের গ্যাংওয়েসহ তিনটি দোকান বিলীন ॥ ফেরি চলাচল বন্ধ সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের গ্যাংওয়েসহ তিনটি দোকান বিলীন ॥ ফেরি চলাচল বন্ধ - ajkerparibartan.com
সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে ইন্দুরহাট ফেরিঘাটের গ্যাংওয়েসহ তিনটি দোকান বিলীন ॥ ফেরি চলাচল বন্ধ

2:59 pm , December 26, 2022

স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যানদীর আকস্মিক ভাংগনে তিনটি দোকানসহ ফেরিঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। সোমবার আনুমানিক ভোর রাত ৪ টার দিকে নদীর পশ্চিম পাড়ের ইন্দুরহাট ঘাটে ওই ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙন অব্যহত রয়েছে। গ্যাংওয়ে নদীতে ডুবে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই স্বরূপকাঠি- ইন্দুরহাট ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আকষ্মিক নদী ভাঙনে দোকান পাট হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তেল ও মবিলের দোকানদার হাসিব , চায়ের দোকানদার নুরুন্নাহার ও কামাল নামে তিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ভাঙ্গন সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল । সন্ধ্যানদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীর পশ্চিম পাড়ের দক্ষিন কৌরিখাড়া, পুর্ব সোহাগদল, গনমান গ্রামের বসতঘর, বাগানবাড়ি, ফসলীজমিসহ বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ন জনপদ। বছর খানেক আগে পুর্ব সোহাগদল গ্রামের নুর খানের বসতঘরসহ বাগানবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তার পুর্বে দক্ষিণ কৌরিখাড়া মো. শহীদুল ইসলাম, মো. সেলিম হোসেন ও মো. আলমগীর হোসেনের বসতঘরসহ বাগানবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় । একে একে সন্ধ্যার অতল গহ্বরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত ঘর, বাগানবাড়িসহ ফসলী জমি। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে ছিন্ন মূলে পরিনত হয়েছে অনেক পরিবার। সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে দক্ষিন কৌরিখাড়া ও গনমান গ্রামটি প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অনেক পরিবার এখনও তাদের শেষ আশ্রয় স্থল বসত ভিটায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।
ফেরি চালক মো. আরিফুল ইসলাম মৃধা জানান সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাংগনে ইন্দুরহাট পাড়ের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্রেন এনে গ্যাংওয়ে তুলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক চেষ্টা করা হচ্ছে।
নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মো. মেহেদী হাসান জানান সন্ধ্যানদীর ভাঙ্গনের কথা শুনেছি। পরিদর্শন পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউএনও মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার জানান, উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এছাড়া যথাযথ কর্তৃ পক্ষকেও জানানো হয়েছে। সম্ভব্য স্বল্প সময়ের মধ্যে ফেরি চলাচল সাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT