3:18 pm , October 21, 2022
এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া ॥ বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে বানারীপাড়া ফেরীঘাট মনিরের চায়ের দোকানের পাশে বানারীপাড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের বডিগার্ড(ক্যাডার) তপু খানের হামলায় পৌরসভার বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন ব্যবসায়ী সাব্বির মোর্শেদ শিশির ওরফে বাবু মোল্লা। আহত বাবু মোল্লা অভিযোগ করেন, তিনি মনিরের চায়ের দোকানের পাশে দাড়িয়ে সদ্য নির্বাচিত সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর উর রশীদ স্বপনের সাথে কথা বলছি। এমন সময় পৌরসভার কলেজ মোড়ের বাসিন্দা উপজেলা ছচেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের বডিগার্ড (ক্যাডার) তপু খান অতর্কিত হামলায় চালায়। এক পর্যায়ে চা দোকানের কেক কাটা ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় হামলা চালায়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর উর রশীদ স্বপন এবং উপস্থিত স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় সরিয়ে দেয়া হয়। বাবু তাৎক্ষনিক বানারীপাড়া থানায় ওসির অনুপস্থিতিতে ওসি তদন্ত মোঃ জাফর আহমেদ এবং সেকেন্ড অফিসার (এসআই) ওসমান গনিকে বিষয়টি জানান। পুলিশ বাবুকে প্রথমে চিকিৎসার জন্য
বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক সেবা দিয়ে গুরুতর আহত বাবুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আহত সাব্বির মোর্শেদ শিশির ওরফে বাবু মোল্লা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, আবুল কালাম বালি গংদের সাথে জমি জমা এবং মৃত বড় ভাইর সাবেক স্ত্রী মাকসুদা মনির সাথে পারিবারিক ঘ বিরোধ চলছে। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের পৌর শহরের পাবলিক লাইব্রেরীর পাশের দোকানের ভাড়াটিয়াকে দোকান ছাড়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি দেয় এবং মাকসুদা মনি ২০ হাজার টাকায় ভাড়াটে ক্যাডার ঠিক করে। এর পরে রাতে আমার উপর এ হামলা হয়। আমরা মামলার প্রস্তুুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তপু খান জানান, কয়েক দিন আগে ওদের পারিবারিক ও জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ভাইয়ের কাছে নিয়েছিলাম। এর পর আমি ঢাকায় যাই। এ সময় বাবু আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করছিল। এ বিষয়টি জানাতে চাইলে বাবুর সাথে কথা কাটি হয়।
তপু খান অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাসী ও সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের সাথেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ।
এ ব্যাপারে মাকসুদা মনি জানান, আমি দোকানের ভাড়াটিয়াকে দোকান ছাড়াতে বলেছি। এছাড়া আমি কিছু জানি না।
বানারীপাড়া থানার ওসি তদন্ত মো. জাফর আহমেদ জানান, বিষয়টি আমরা জানি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও জানেন। ভিকটিমের অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।