3:38 pm , September 24, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গৃহবধূ তানিয়া হত্যাকান্ড, চাঁদাবাজী, ভাংচুর লুটপাটসহ প্রায় হাফ ডজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শাকিল মাহমুদ আউয়াল খানের বিচারের দাবীতে কলেজ শিক্ষার্থীরা ঝাড়– মিছিল করেছে। আউয়াল খান শেরেবাংলা ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র মারজু বিশ্বাসকে কুপিয়ে জখম করার মামলার পালাতক আসামী। তাকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা, ঝাড়– মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। মিছিলে অংশ নেয়া নারীরা হাতে ঝাড়– নিয়ে কথিত ছাত্রলীগ নেতা আউয়াল খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। উজিরপুর মডেল থানার একদল পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাকে (আউয়ালকে) দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে জনতা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। প্রতিবাদ সভায় স্থানীয়রা প্রকাশ্যে অভিযোগ করে বলেন, একাধিক মামলার আসামী বেপরোয়া আউয়াল খান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শিকারপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে। আউয়াল খান সরকারী দলের লেবাস লাগিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর কারনে তার হাতে শিকারপুর এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এমন কি পুলিশ প্রশাসনও তোয়াক্কা করে না আউয়াল খান। তার কর্মকান্ডে সরকারী দল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরাদেরও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। বড় ভাই ওয়াকার্স পার্টির নেতা করিম খান তার শেল্টার দাতা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করে আউয়াল হয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা। এর পর শুরু করেন নানা অপকর্ম। দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ্যে নারী কেলেঙ্কারী থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল করেছে সন্ত্রাসী আউয়াল খান। এছাড়া নিশাত নামে এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে জনতার হাতে ধরা পরার পর থানা থেকে ছাড় পেয়ে যান তিনি। কিছুদিন পরেই মুন্ডপাশা গ্রামে কামাল হোসেনের স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী অউয়াল খান ক্ষমতার দাপটে মামলার চার্জশীট থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ান। এর পর থেকে সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আয়নাল হোসেনের দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট মামলায় বরিশাল আদালতে আউয়াল খানকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেন বিচারক। আদালত থেকে একটি মামলায় ওয়ারেন্টে হলে আসামী আউয়াল খানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে যায়। এসময় পুলিশকে গালিগালাজ করে সে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। শিকারপুর এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে আউয়াল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিন্মি রয়েছে। সর্বশেষ রোববার শেরেবাংলা কলেজের মেধাবী ছাত্র মারজু বিশ্বাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে আউয়াল খান ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় আউয়াল খানকে প্রধান আসামী করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে মারজু বিশ্বাস। উজিরপুর মডেল থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, আউয়াল খান শিকারপুর শেরে বাংলা কলেজ ছাত্র মারজুককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার মূল আসামী। সে পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।