2:33 pm , May 10, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর সবৃবৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকার চকবাজারের ব্যবসায়ীরা ১০ই মে সকল দোকান-পাঠ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বরিশাল ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দীর্ঘদেড় মাস বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী সদস্যরা। রবিবার ১০ই মে সকাল থেকে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা চক বাজার, গ্রীর্জা মহল্লা, ফজলুল হক এ্যাভিনিউ ও পদ্মাবতী এলাকার শপিংমলগুলো বন্ধ থাকলেও কতিপয় রেডিমেড কাপরের দোকান খোলার চেষ্ঠা করা হলে মালিক সমিতির সদস্যদের চাপের মুখে দুপুরের পর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়। এব্যাপারে বরিশাল চক বাজার ব্যাবসায়ী মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ আঃ রহিম বলেন তারা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অনুরোধে করোনার প্রাদুর্ভাব না যাওয়া পর্যন্ত দোকান না খোলার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসময় তিনি বলেন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও এর মাঝে দোকান-কর্মচারীদের বকেয়া যতটুকু সম্ভব তা তারা দ্রুত পরিশোধ করে দিবেন। একই সাথে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে সাধারন সম্পাদক বলেন আপনারা এবছরের ঈদ আনন্দ পরিত্যাগ করে এই টাকা দিয়ে নিজেদের আশে-পাশে অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের সহযোগীতার করার জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান। অণ্যদিকে প্রথমে মালিক সমিতির নেয়ার সিদ্ধান্ত বিরোধীতা করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারন দোকান-কর্মচারীরা। এসময় তারা জানান আমরা দীর্ঘ দেড়মাস যাবত কোন বেতন পাচ্ছিনা তার উপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কর্মহীন বেকার হয়ে পড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে এক প্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুনেছি ত্রান দেয়া হয়। কোথায় ত্রান দেয়া হয় আমারা জানতে পাড়ি না। আমরা নিম্ন বিত্ত পরিবারের মানুষ হওয়ার কারনে চাইতেও পারি না। আমাদের কেহ কিছু দেয়ও না। দোকান কর্মচারীরা এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে রুটি-রুজির মধ্যে তারা জীবনকেই করোনা থেকে বেছে থাকতেই ইচ্ছার বাহিরে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই দোকান বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এটা তারা মেনে নিয়েছে। অন্যদিকে বরিশাল নগরীর নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও সাধারন মানুষকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গৃহবন্ধি করে রাখতে না পারার কারনে কাগজে-কলমে লকডাউন থাকলেও নগরীর সড়কগুলোতে রয়েছে ভিন্ন চিত্র। ভেঙ্গে পড়েছে লকডাউন আইন।