ডেঙ্গু রোগীদের সাথে ঈদ কাটালেন শেবাচিম পরিচালক ডা. বাকির হোসেন ডেঙ্গু রোগীদের সাথে ঈদ কাটালেন শেবাচিম পরিচালক ডা. বাকির হোসেন - ajkerparibartan.com
ডেঙ্গু রোগীদের সাথে ঈদ কাটালেন শেবাচিম পরিচালক ডা. বাকির হোসেন

2:50 pm , August 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দকে বিসর্জন দিলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। তিনি ঈদের ছুটির তিনটি দিনই পাশে ছিলেন চিকিৎসাধিন রোগীদের। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রোগীর সাথেই কাটিয়েছেন ঈদ আনন্দ। আর এর মাধ্যমে শেবাচিম হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা সেবায় এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ডেঙ্গু জ¦রে কাপছে গোটা দেশ। তার মধ্যে ঈদ চলে আসায় বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ও সর্বশেষ নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে। ঈদের পূর্বে মৃত্যুও হয়েছে শিশু সহ চার জনের। তাছাড়া শেবাচিম হাসপাতালের শয্যায় ঈদের দিন কাটান ৩৩০ জন রোগী। এমন পরিস্থিতিতে শুধু বরিশাল নয়, ডেঙ্গু মোকাবেলায় দেশের সকল হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করে সরকার।
এদিকে সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালেও চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করে আদেশ জারি করেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। এমনকি একজন পরিচালক হওয়া সত্যে তিনি নিজেও ঈদের ছুটিতে যানটি। এমনকি ঈদের নামাজও আদায় করতে পারেননি তিনি। সারাদিন নিজ কক্ষে না গিয়ে সরাসরি চলে যান রোগীদের খোঁজে। প্রথমত তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ খবর নেন। ছুটিতে না গিয়ে কর্মস্থলে দায়িত্বপালন করা অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি পরিচালক ডা. বাকির হোসেন নিজ হাতেই চিকিৎসা দেন রোগীদের। নিজে দাড়িয়ে থেকে রোগীদের উন্নত ও বিশেষ খাবার পরিবেশন করান। ঠিকভাবে সরকারি ওষুধ পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নেন। পরিচালকের এমন দৃষ্টান্ত রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চিকিৎসকদের নিয়ে সৃষ্ট ভুল ধারনা পাল্টে দিয়ে আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে। হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেছেন, রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতেই সরকার আমাকে এই পদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাছাড়া আমি বরিশালেরই সন্তান। এখানকার রোগীদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। যে কারনে রোগীর কষ্টে ব্যথিত হই আমি। এসব কারনেই গত রোজার ঈদের ন্যায় এবার কোরবানীর ঈদও কাটিয়েছি রোগীদের সাথেই। আমার পাশাপাশি হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরাও ঈদ কাটিয়েছেন রোগীদের সাথে। এতে রোগীরাও যেমন আনন্দিত হয়েছেন তেমনি আমার নিজেরও আত্মতৃপ্তি হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি খাবারের মান নিজ হাতে পরীক্ষা করেছি। যাতে রোগীরা কোন ভাবেই অসন্তুষ্ট না হয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT