পশুর ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় ভোলার খামারিরা পশুর ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় ভোলার খামারিরা - ajkerparibartan.com
পশুর ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় ভোলার খামারিরা

3:00 pm , July 2, 2021

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলা জেলার সাত উপজেলায় জন্য যথেষ্ট পশু রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যানুযায়ী এক লাখ দুই হাজার ৬০টি পশুর চাহিদার বিপরীতে জেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৭৫৪টি পশুর মজুত রয়েছে। কুরবানির পশুর হাটকে সামনে রেখে এখন ভোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। হাটে পশু বিক্রির জন্য প্রতি বছরের মত এবছরও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় গরু মোটাতাজা করতে কাজ করছেন তারা। তবে চাহিদার তুলনায় বেশি পশুর মজুত, দেশের বাইরে থেকে গরু প্রবেশ ও করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।সরেজমিনে দেখা গেছে ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ছোট বড় খামারিরা কুরবানির পশুর হাটে গরু বিক্রি করার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে খইল, ভূষি, কাচা ঘাস, খড়সহ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত। ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর গাজী গ্রামের খামারি মো. মোছলে উদ্দিন, আবুল কালাম ও আব্দুল মতিন বলেন, আমরা প্রতিবছর কুরবানির হাটে গরু বিক্রির জন্য জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনি। দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়ে খইল, ভূষি, ঘাস, খড় খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করা হয়। এরপর কুরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে লাভবান হই।তবে এবছর পশু বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে আসবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। তারা বলছেন, এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় না হলে গরুর ভালো দাম পাবেন না। আর দাম ভালো না পেলে ঋণ পরিশোধ করতে বিপাকে পড়বেন তারা।ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর ভেদুরিয়া গ্রামের মো. ইউনুছ বলেন, কিছু আসাধু খামারি ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে আনবে। আমরা ওইসব অবৈধ খামারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে হাটে বিক্রি করতে আসা খামারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি জানান, সাত উপজেলায় চাহিদার চেয়ে কুরবানির পশুর মজুত বেশি রয়েছে। ফলে জেলায় অন্য কোথাও থেকে কুরবানির পশু আনতে হবে না। তবে করোনা সময়ে খামারিরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে বলে জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT