5:02 pm , May 10, 2025

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী যুবতী বলেন, তিনি গত বছর বরিশালের একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে নার্সিং কোর্স শেষ করেছেন। তার বাবা বেঁচে নেই। বৃদ্ধা মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। একই এলাকায় বসবাস করায়  বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিনের সাথে পরিচয় হয়। এরপর বিয়ে করার আশ^াস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে।
উপায়ন্ত না পেয়ে আমি বাকেরগঞ্জ থানায় গত ২২ জানুয়ারি একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। উল্টো সমঝোতার নামে গত ৭ মে বুধবার রাত ১১টায় সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান স্থানীয় দুই যুবদল নেতার মাধ্যমে আমি এবং আমার মাকে তার বাসভবনে ডেকে পাঠায়। আমি গিয়ে দেখতে পাই সেখানে আগে থেকেই বাকেরগঞ্জ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জল উপস্থিত।
সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান আমার কোন কথা না শুনেই আমাকে রুহুলের নামে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বলেন। আর মামলা তুলে না নিলে সকালের মধ্যেই তিনি মামলা ফাইনাল দিবেন। এমনকি তিনি আমার নামে ২১১ ধারা দিবেন বলেও হুমকি দেন।  কয়েক দিন আগে বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার ও ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ মাহমুদুর রহমান রিমন আমার বাসায় গিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে । আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি। যে কোন সময় আমি জুলাই আন্দোলনে দুমকি থানার শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়ার মত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারি। এর দায় দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসন এবং হুমকিদাতা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিতে হবে।
সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় জনগণ অবগত রয়েছে এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসেছিল। পরে সমাধানের জন্য বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে আসে। আমি সমাধানের জন্য যা বলা দরকার তাই বলেছি। তবে জোরপূর্বক মামলা তুলে নিতেই হবে এমনটা বলা হয়নি। সমাধানের জন্য যা বলার উভয় পক্ষকে সেটাই বলা হয়েছে।