শেবাচিমের শিশু বিভাগে ধারণ ক্ষমতার ৬ গুনের বেশী রোগী! শেবাচিমের শিশু বিভাগে ধারণ ক্ষমতার ৬ গুনের বেশী রোগী! - ajkerparibartan.com
শেবাচিমের শিশু বিভাগে ধারণ ক্ষমতার ৬ গুনের বেশী রোগী!

4:10 pm , April 23, 2024

বিশেষ প্রতিবেদক ॥  বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের মেঝেতেও এখন রোগীদের ঠাঁই মিলছে না। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সরকারি এ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানটির শিশু বিভাগের ৩টি ইউনিটের অনুমোদিত ৫৬টি বেডে মঙ্গলবার সকালে রোগী ছিল সাড়ে ৩শরও বেশী। কিছু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র লাভের সাথে সাথে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই আরো ১১৫জন ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসার পরিবেশ এখন বিপন্ন। হাসপাতালটির আইসোলেশন ওয়ার্ডের অনুমোদিত ১৪টি বেডে ৪৯ জন শিশু ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন থাকার পরে মঙ্গলবার নতুন ভর্তি হয়েছে আরো ২২ শিশু। হাসপাতালটির
শিশু বিভাগের নবজাতকদের জন্য যে ১৫টি শয্যা বরাদ্দ রয়েছে সেখানেও দ্বিগুনের বেশী রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসক ও নার্স সহ ওয়ার্ডবয় এবং সব ধরনের চিকিৎসাকর্মী সংকটের মধ্যেও ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশী রোগী নিয়ে ক্রমাগত ধুকছে ১ হাজার শয্যার দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানটি। গোটা হাসপাতালটিই জনবল সংকটের মধ্যে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী নিয়ে ক্রমাগত ধুকছে। ১ হাজার  শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত রোগী থাকছে প্রায় দু হাজার।
শিশু বিভাগটির অবস্থা এর বাইরে নয়। এ বিভাগের ৩টি ইউনিটে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীর ব্যাপক সংকট থাকলেও রোগীর উপচেপড়া ভীড়। হাসপাতালটির অন্য সব ওয়ার্ডের মতই শিশু বিভাগের ৩টি ইউনিটের মেঝেতে রোগী।
১৯৭৮ সালে বর্তমান ভবনে ৫শ শয্যার এ হাসপাতালটি চালু হবার পরে গত ৪৬ বছরে একটি ব্লকে ৪ তলার ওপরে ঊর্ধ্বমুখি সম্পসারণের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটারগুলো স্থানান্তর ছাড়া বর্তমান ভবনটির আর কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে জায়গার অভাবে ওয়ার্ডগুলোতে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করাও  যাচ্ছেনা। পুরো হাসপাতালজুড়ে গরম আর গুমোট আবহাওয়ার সাথে অতিরিক্ত রোগীর ভীড় আর দুর্গন্ধে চিকিৎসার ন্যূনতম পরিবেশও বিপন্ন।
এদিকে প্রায় ১০ বছর আগে এ নগরীতে ২শ শয্যার একটি শিশু হাসপাতাল নির্মানের সিদ্ধান্তের পরে সে লক্ষে প্রক্রিয়া শুরু হলেও গণপূর্ত বিভাগ গত ৫ বছরেরও বেশী সময়ে হাসপাতাল ভবন  নির্মান কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের শিশু চিকিৎসার চাপ এ হাসপাতালটির ওপরেই। গণপূর্ত বিভাগ  সর্বশেষ আগামী জুনের মধ্যে ভবনসহ অবকাঠামো নির্মান কাজ শেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে বরিশাল শিশু হাসপাতালটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে। তবে এর পুরোটাই নির্ভর করবে নির্মান প্রতিষ্ঠানের কথা রাখার ওপর। এরপরে জনবল মঞ্জুরী ও নিয়োগ সহ নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কবে নাগাদ বরিশাল শিশু হাসপাতাল চালু হবে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT