জমজমাট বরিশালের পোশাক বাজার জমজমাট বরিশালের পোশাক বাজার - ajkerparibartan.com
জমজমাট বরিশালের পোশাক বাজার

4:25 pm , March 29, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেরীতে হলেও অবশেষে জমেছে পোশাক বাজার। বরিশালের মার্কেট, বিপণিবিতান ও শপিংমলে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের শুরুতে তেমন ক্রেতার দেখা না মিললেও এখন ধীরে ধীরে ক্রেতা বাড়ছে। তবে তারা যে পরিমাণ বিক্রির আশা করছিলেন তা এখনো হচ্ছে না। বরিশালে কেনাকাটার একটি বড় কেন্দ্র চকবাজার-কাটপট্টি-পদ্মাবতি ও বড় বাজার এলাকা। বাণিজ্যিক এ এলাকায় রয়েছে বেশকিছু মার্কেট আর বিপণিবিতান। সেখানে ছোট-বড় মিলিয়ে হাজারো দোকান। এসব দোকানে থান কাপড়, থ্রি-পিস, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক, জুতা, প্রসাধনী সবই পাওয়া যায়। এছাড়া কেনাকাটার জন্য শহরের বিভিন্নস্থানে রয়েছে শপিংমল ও বেশ কয়েকটি মার্কেট। আছে আড়ং, ক্যাটস আই, ইনফিনিটি, রীচম্যান, টপটেন মার্ট, সেইলর, ইজি, প্লাস পয়েন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের আউটলেট। চকবাজার-কাটপট্টি-পদ্মাবতি ও কয়েকটি ফ্যাশন হাউজ ঘুরে জানা গেছে ঈদবাজারে শিশু থেকে তরুণ-তরুণীদের পোশাকের চাহিদাই বেশি। তরুণীদের চাহিদার প্রথম সারিতে এবারও আছে ভারতীয় পোশাক। এসব পোশাকের মধ্যে শারারা, ঘারারা, লেহেঙ্গা, টপস সেট, রেডিমেট থ্রি-পিস অন্যতম। চকবাজারের কয়েকজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন দোকানে বাড়তি সাজসজ্জা করা হয়েছে। ‘ঈদ মোবারক’ লেখা ব্যানার টানিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। অনেক দোকানের বাইরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। কোনো কোনো দোকানে কেনাকাটায় দেওয়া হচ্ছে মূল্য ছাড়ের সুবিধা। মূলত ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিক্রি বাড়াতেই এসব করা হয়েছে। তবে ক্রেতাদের অতটা চাপ নেই। রমজানের শুরুর দিকে প্রতি বছর ভীড় থাকলেও এবার তা ছিলনা মোটেও। তবে ১৫ রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের আগমন শুরু হয়েছে। বিক্রয়কর্মীরা আরও বলেন, সব বয়সী ক্রেতার কথা ভেবে দোকানে দেশি-বিদেশি বাহারি পোশাক তোলা হয়েছে। তবে শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। ঈদের বাজারে এবার মেয়েদের কাছে ব্যাপক আকর্ষণীয় ভারতীয় পোশাক। ঈদে বিক্রি নিয়ে কথা হয় নগরীর একটি ব্র্যান্ডের শো-রুমের ব্যবস্থাপক এর সাথে। তিনি বলেন, আমাদের শো-রুমে বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে ছেলেদের পাজামা-পাঞ্জাবি, স্যান্ডেল, শার্ট-প্যান্ট, মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস, শাড়ি, জুতা, ব্যাগ, প্রসাধনী ও শিশুদের রকমারি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ক্রেতার তেমন চাপ নেই। গত দুদিন ধরে  মোটামুটি বেঁচাকেনা হয়েছে। বিক্রি কম হলেও খারাপ না। শো-রুমে দুই মেয়েকে নিয়ে ঈদের পোশাক কিনতে আসা আয়শা সিদ্দিকা জেবা নামের এক গৃহিণী বলেন, এখানে এক ছাদের নিচে প্রায় সব পণ্যই পাওয়া যায়। ভীড় ও ভোগান্তি এড়াতে এখানে আসা। তবে এবার অতিরিক্ত দাম। ইচ্ছে ছিল পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কিছু কিনবো। কিন্তু দুই মেয়ের পোশাক কিনতেই সব টাকা শেষ। গতকাল শুক্রবার ঈদবাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, ঈদ কেনাকাটায় পোশাকের দোকানের চাপ শেষ দিকে এসে ছড়িয়ে পড়ছে প্রয়োজনীয় অন্যান্য অনুষঙ্গের দোকানগুলোতেও। দেশী ব্র্যান্ডের ভিন্নধর্মী অলংকার, আবার অন্যান্য দোকানে চোখ ধাঁধানো স্টোনের কারুকাজ করা অলংকার। হাইহিল, স্লিপার। ক্রেতাদের আগ্রহের তালিকায় এসব পণ্যই। এসব পণ্যের একাধিক ক্রেতা বলেন, পোশাকের পাশাপাশি নতুন জুতা-অলংকার না কিনলে ঈদের আনন্দ জমে না। ছেলেদের টি শার্ট-শার্ট থেকে শুরু করে মেয়েদের শাড়ি, লেহেঙ্গা, ওয়ান পিস-থ্রিপিস। ক্রেতার কাছে এসব পোশাকের আবেদন থাকে চাঁদ রাত পর্যন্ত। এদিকে ক্রেতাদের কেনাকাটার উচ্ছ্বাসে মাঝ রমজানেই যেন ঈদ লেগে গেছে বিক্রেতাদের মনে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে বেঁচাকেনা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো হচ্ছে উপচে পড়া ভীড়। যতক্ষণ ক্রেতাদের ভীড় থাকবে ততক্ষণই খোলা রাখতে চান বিপণিবিতানগুলো।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT