বাজারে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা বাজারে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা - ajkerparibartan.com
বাজারে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা

3:36 pm , March 8, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু পবিত্র রমজান। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। রমজান শুরুর আগে শেষ শুক্রবার ছিলো গতকাল এদিন ছুটি থাকায় রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে এসেছিলেন অনেকেই। তবে আগেভাগেই বেশিরভাগ পণ্যের দর বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।ক্রেতারা বলেছেন, আগের রমজান থেকে এ রমজানে খেজুর, ছোলা, ডাল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। অনেকটা যা নি¤œবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলা চলে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। গতবছর বাজারে এ সময় ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসাবে এবার কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। খেসারি ডালের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আগে যা ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল।বাজারে এখন এক কেজি সাধারণ মানের খেজুরের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রোজার আগ মুহূর্তে এ ধরনের খেজুরের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।এছাড়া ভালো মানের খেজুর ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। গত রমজানের থেকে যা ৪০০ টাকা বেশি।মুদি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার রোজার অনেক আগেই ছোলা, খেসারি ডালসহ রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।তবে চিনির দাম আগের অবস্থায় আছে। তেলের দাম কমলেও নতুন দরে বাজারে আসেনি।তৌহিদুর রহমান নামে বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, রমজানের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। যে টাকা নিয়ে এসেছি তা দিয়ে ভেবেছিলাম পণ্য কিনতে পারবো। কিন্তু দাম বেশি থাকায় সব কিছু কেনা সম্ভব হয়নি।রমজান এলেও কমছে না পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মূল্য। গত বছর রোজার আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেই দাম এখন প্রায় ৩ গুণ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।সেই হিসাবে ১ কেজি পেঁয়াজে বেশি খরচ হবে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং রসুন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত রমজানের থেকে যা প্রায় প্রতি কেজি ১০০ টাকা বেশি।সবমিলিয়ে রোজা শুরুর আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার।রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা যেন অঘোষিত নিয়ম। এবারও হয়নি এর ব্যতিক্রম।বাজারে আসা এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘এই যে নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতি, এতে আসলে জীবন চালিয়ে নেওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।’সংকট না থাকলেও লেবুতে হাত দেয়াই দায়। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।লেবু কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজান সামনে। তারা (বিক্রেতা) দেখতেসে, যা চায় তাই পাবে। এজন্যই দাম বেশি।ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজিতে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০। এজন্য বিক্রেতারা খামারিদের দূষলেও ভোক্তারা বলছেন সিন্ডিকেটের কথা।এক কেজি গরুর মাংসের জন্যও গুনতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস ১১৫০। স্বস্তি নেই মাছেও। রুই ৩৫০, পাঙ্গাস-তেলাপিয়ার কেজি ২০০ টাকা।মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত, আমাদের মতো মানুষের জন্য এটা অনেক কষ্টের।’ এ অবস্থায় রোজা শুরুর আগেই বাজারে কার্যকর তদারকি শুরুর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT