মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সাব্বিরের পাশে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সাব্বিরের পাশে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম - ajkerparibartan.com
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সাব্বিরের পাশে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম

3:59 pm , February 22, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুচিন্তায় থাকা বরিশালের উজিরপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী রমজান খান সাব্বিরের পাশে দাড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক। উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের পর তার ভর্তির জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামও অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাব্বির ও তার বাবা ফিরোজ খানের হাতে ভর্তির জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এ সময় এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের একসেট বই দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এ সহায়তা পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সাব্বিরের বাবা গামছা বিক্রেতা ফিরোজ খান। এ সময় সাব্বির জেলা প্রশাসককে কদমবুচি করেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, সাব্বিরে ভর্তির টাকা ও প্রথম সেমিষ্টারের বই দেয়া হয়েছে। তার শিক্ষাজীবনে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, অনেক বিত্তশালী যোগাযোগ করেছে। তারা সাব্বিরের জন্য সহায়তা করবেন। একজন চিকিৎসক হতে সাব্বিরের কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন এর আগে সাব্বিরকে ২১ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। এছাড়াও তার ভর্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। ইউএনও ব্যক্তিগতভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
ইউএনওর সাথে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসেন সাব্বির। ইউএনওর গাড়িতে উজিরপুরে ফিরে যাওয়ার সময় আবেগ আপ্লুত সাব্বির বলেন, এ মুহুর্তের অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করা যায়। আমি জেলা প্রশাসকসহ সকলের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
কৃষি শ্রমিকের সাথে সাথে গামছা বিক্রেতা ফিরোজ খানের ছেলে রমজান খান সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দমোদরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান হাটে-বাজারে ঘুরে ঘুরে গামছা বিক্রি করেন। প্রতিদিন আয় করেন সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪শ’টাকা। ওই টাকা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে চার সদস্যের সংসার। এর মধ্যে দুই ছেলেমেয়ের লেখাপড়া। যেখানে তিনবেলা ঠিকমত খাবার জোটানো দায় সেখানে ছেলেকে মেডিকেলে পড়ানোর খরচ কিভাবে বহন করবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসক তাদের পাশে দাঁড়ানো খুশির শেষ নেই ফিরোজ খানের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় রমজান খান সাব্বির। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাব্বিরের বোন উর্মিকে স্কুল থেকে একটি ট্যাব দেওয়া হয়। ওই ট্যাবটি দিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে পাঠ নিয়ে সাব্বির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT