ঝালকাঠির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার অযত্ন -অবহেলায় ঝালকাঠির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার অযত্ন -অবহেলায় - ajkerparibartan.com
ঝালকাঠির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার অযত্ন -অবহেলায়

2:52 pm , February 11, 2021

 

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি ॥ “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি?” সাংবাদিক ও লেখক আব্দুল গাপ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে গানটি রচনা করেন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালিন পাকিস্থানের অন্যতম রাস্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাধারণ মানুষের দাবির বহি:প্রকাশ ঘটেছিল।অনেক রক্ত জরাতে হয়েছিল, কিন্তু শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মায়ের ভাষার স্মৃতি সংরক্ষণে উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয় যা অত্যন্ত দু:খজনক। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরেও ঝালকাঠি জেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে। ফলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। নতুন প্রজন্মে বাংলাদেশের নাগরিকরা পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য বুকের রক্ত উজার করে দেয়া বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে থেকে যাচ্ছে অজ্ঞ-অজানা।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমান সরকারের আমলে ভাষা শহীদদের স্মরণে জেলার মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের উপর গুরুত্ব দিলেও ঝালকাঠি জেলার গ্রামগঞ্জে বহুসংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী ভাবে কলাগাছ ও বাঁশসহ স্থানীয় উপকরণ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে জেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার থাকলেও সার বছর সেগুলোর যতœ অবহেলায় পরে থাকায় প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পূর্বে ঘষামাজা করে শ্রদ্ধা নিবেদনের উপযুগী করা হচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় মোট ৪০৪টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কোনো শহীদ মিনার নেই শুধু সেখানেই শিক্ষার্থীরা কলাগাছ অথবা বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে সেগুলো সারা বছর পরিত্যাক্ত অবস্থায় ও অবহেলায় পড়ে থাকে। ২১ ফেব্রুয়ারির আগে প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দপ্তরী ও উৎসাহী শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রস্তুতী নেয়।
স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা যতোটুকু জানি তাতে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবে অনেক বিদ্যালয়ে স্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মিত না থাকায় অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হয়। স্বাধীন দেশের আগেই আমাদের এতোবড় অর্জনকে আমাদের পাঠ্যসূচীতেও তেমনভাবে উল্লেখ করা হয়নি বলে তারা জানান
এ অবস্থায় যেসকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ এবং অবস্থানরত শহীদ মিনাগুলোকে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দাবি জানিয়েছে জেলার স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT