মহিপুর কালীবাড়ি পুকুরে অবৈধ বালুভরাট বন্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা মহিপুর কালীবাড়ি পুকুরে অবৈধ বালুভরাট বন্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা - ajkerparibartan.com
মহিপুর কালীবাড়ি পুকুরে অবৈধ বালুভরাট বন্ধে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

1:53 pm , November 5, 2020

কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানা সদরের শত বসর পুরনো কালীবাড়ি পুকুরে মৎস চাষ ও হাঁস- মুরগী পালনের বন্দবস্ত এনে অবৈধ ভাবে বালু দিয়ে পুকুর ভরাট করার চেষ্টায় বাঁধা প্রদান করাকে কেন্দ্র করে গত ১ লা নভেম্বর (রবিবার) কলাপাড়া সিনিঃ সহকারী জজ আদালতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সহ ১৩ জনকে আসামী করে, ৪৫২/২০২০ (নিষেধাজ্ঞা) মামলা দায়ের করেন মোঃ ইউসুফ খান ও মোঃ শাহালম প্যাদা। জানা যায়, গত ৩১ শে অক্টোবর (শনিবার) রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় মোঃ ইউসুফ খান ও তার সহযোগীরা ড্রেজার মাধ্যমে পুকুরে বালি ফেলে ভরাটের চেষ্টা করলে মহিপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তার সহোযগীতায় স্থানীয় জনসাধারণ পুকুরে বালুভারাটে বাঁধা দেয় এবং রাত আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় কলাপাড়া সহ কমিশনার (ভুমি) শ্রী জগৎ মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বালুভরাটের কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ লা নভেম্বর (রবিবার) মোঃ ইউসুফ খান ও মোঃ শাহালম প্যাদা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিঃ সহ জজ আদালতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, সহকারী জেলা প্রশাসক, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কানগো ভুমি কর্মকর্তা কলাপাড়া, ভূমি কর্মকর্তা মহিপুর, মহিপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক, স্থানীয় সমাজসেবক, মহিপুর রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ও দপ্তর সম্পাদক সহ মোট ১৩ জনকে আসামী করে ৪৫২/২০২০ (নিষেধাজ্ঞা) মামলা দায়ের করেন। এদিকে ০৪ নভেম্বর (বুধবার) নির্বাহী প্রকৌশলী এই বন্দবস্ত সম্পূর্ন অস্বীকার করে লিখিত ভাবে জানায়, অত্র দপ্তরে নথিপত্র যাচাইন্তে দেখা যায়, মামলায় দাখিলকৃত সংযুক্ত স্মারক নম্বর এল/এল-৪৩৫ তারিখঃ ২৬,০৪,২০১১ ইং এর আলোকে ০১। মোঃ ইউসুফ খান ০২। মোঃ খালেক প্যাদা ০৩। মোঃ শাহআলম প্যাদাকে অত্র দপ্তর থেকে উল্লেখিত জমিতে ইজারা প্রদান করা হযনি। উক্ত মামলার আসামী সমাজ সেবক মোঃ শাহালম হাং জানায়, একজন সচেতন নাগরিকের কর্তব্য মনে করে এই অবৈধ ভাবে পুকুর বালু দিয়ে ভরাট বন্ধ এবং মহিপুরের একমাত্র বিশুদ্ধ পানির একমাত্র পুকুর রক্ষা করার জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের সহোযগীতা করেছি। উক্ত মামলার অপর আসামীদের মধ্যে মহিপুর ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খলিলুর রহমান ও সম্পাদক মোঃ রুহুর আমিন দুলাল বলেন, মহিপুর বাজারে অগ্নি কান্ডসহ প্রয়োজনী পানির সমস্যা থেকে মহিপুর ব্যবসায়ীদের রক্ষা ও প্রয়োজন মেটাতে সরাকরী কর্মকর্তাদের সহোযগীতা করা নিজেদের কর্তব্য মনে করেছি এবং মামলার আরেক আসামী মহিপুর রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপাতি মোঃ আরিফুর রহমান (সুমন) নিজেকে একজন গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিতি একান্ত কাম্য দাবী করে বলেন, কলাপাড়া সহকারী কমিশণার (ভূমি) শ্রী জগৎ মন্ডল মহোদয়ের উপস্থিতে বালুভরাট বন্ধ করে দেওয়ার সময় উক্ত পুকুরের ইজারাদার এবং ড্রেজার সংশ্লিষ্ট কাউকে ঐ ঘটনাস্থানে পাওয়া যায়নি। বালুভরাট সংশ্লিষ্ট কেউ উপস্থিত না থাকায়, তিনি সকল ইজারাদারকে বন্দবস্তকৃত প্রয়োজনী কাগজপত্র নিয়ে মহিপুর ভূমি অফিসে যোাগাযোগ করার নির্দেশ প্রদান করেন। তাই কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রী জগৎ মন্ডল ও সকল কর্মকর্তার মারধর সহ বাদী পক্ষের সকল প্রকার অভিযোগের কোন সত্যতা নেই এটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী তিনি করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT