সদর হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট জলিলের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কোটি টাকার সম্পদ! সদর হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট জলিলের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কোটি টাকার সম্পদ! - ajkerparibartan.com
সদর হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট জলিলের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কোটি টাকার সম্পদ!

3:01 pm , September 29, 2020

হেলাল উদ্দিন ॥ বরিশালের স্বাস্থ্য সেক্টরেও সন্ধান মিলেছে মালেকের প্রতিচ্ছবির। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকের গাড়ি চালক মালেক শত কোটি টাকা ও একাধিক গাড়ি বাড়ির মালিক হলেও তার চেয়ে কম যায়নি মালেকরুপী বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট জলিল। ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন তিনি। এছাড়া নামে বেনামে কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির নানা অভিযোগ এনে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্য। অভিযোগের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয় অবৈধ ও দূর্নীতির মাধ্যমে জলিলের অর্থ ও বিত্তশালী হওয়ার বেশ কিছু প্রমানাদী। যার একটি কপি এসে পৌছায় পরিবর্তনের কাছে। তাতে দেখা গেছে নগরীর দুটি মাল্টিপারপাসে পৃথক পৃথক ভাবে দৈনিক ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা করে বছরের পর নিজ নামে জমা করেছেন জলিল। জলিলের দূর্নীতির সমীকরনটা এখানেই সহজে মিলে যায়। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ওঠে তৃতীয় শ্রেনীর একজন কর্মচারী কি ভাবে কোন পথের আয়ে দৈনিক এই পরিমান টাকা জমা করতে পারে। তাহলে তার মাসিক আয় কত। আর এর উৎসই বা কি?
যে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে এসে তদন্ত করেছে। সিভিল সার্জন আরো বলেন তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত জলিলের সকল অনিয়ম দূর্নীতি খুজে বের করবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরিশাল সদর হাসপাতালের সামনে অবস্থিত পদœা নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মালিকানা শেয়ার রয়েছে তার। যদিও সুচতুর জলিল ওই মালিকানা শেয়ার নিয়েছেন স্ত্রীর নামে। আর কৌশলে নিজেই ওই ডায়াগনস্টিকে দায়িত্বপালন করেন জলিল। একাধিক সুত্রে জানা গেছে,হাসপাতালে বেশীর ভাগ সময়েই উপস্থিত না থেকে ওই ডায়াগনস্টিকেই কর্মরত থাকে সে। এমনকি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে নিজ ডায়গনস্টিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অর্থ উপার্জন করা তার বহু দিনের অভ্যাস।
এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে হাজারো অভিযোগের পাহাড় নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এক যুগ ধরে সদর হাসপাতালেই চাকুরী জীবন পর করেছেন মহা দূর্নীতির বরপুত্র এই জলিল। এবার অবস্থা বেগতিক টের পেয়ে বিভিন্ন মহলে ধরনা দিচ্ছে সে। খবর পাওয়া গেছে যে কোন কিছুর বিনিময়ে তদন্ত কমিটিসহ সকল মাধ্যম ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় দিন রাত পার করছেন জলিল। ইতিমধ্যেই ম্যানেজ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগে কয়েক কর্মকর্তার সাথে গোপনে দেখা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী কাল পড়–র বিস্তারিত…

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT