হিজলায় কোষ্টগার্ডের হাতে সরকারী কর্মচারী লাঞ্চিত হিজলায় কোষ্টগার্ডের হাতে সরকারী কর্মচারী লাঞ্চিত - ajkerparibartan.com
হিজলায় কোষ্টগার্ডের হাতে সরকারী কর্মচারী লাঞ্চিত

2:58 pm , May 13, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলায় আটককৃত জেলেদের নৌকা নিলাম ডাকের সময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার অফিস সহকারীকে লাঞ্চিত করেছে কোস্টাগার্ড। ২য় দফায় উপজেলা মৎস্য অফিসারের উপস্থিতে ফের লাঞ্চিত করা হয় অফিস সহকারী ওয়াদুদকে। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনার পর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার বাউসিয়া গ্রামের বাদুরহাট নাম স্থানে। তবে এই ঘটনার উল্টে অভিযোগ করেছে কোষ্টগার্ড।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সাড়ে ৩টার দিকে আটককৃত জেলেদের নৌকার নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। যা বাউসিয়া গ্রামের বাদুরহাট নাম স্থানে কোষ্টগার্ডের পন্টুনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইউএনও ও কোষ্টগার্ডের প্রতিনিধির সাথে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে। ইউএনও’র স্টাফ ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, কোষ্টগার্ডের সিসি ফরহাদ দাবী করে সিসি হতে লক্ষ লক্ষ টাকা লাগে। বিনে টাকায় নৌকা নেয়া যাবে না। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলাম এর নির্দেশ মোতাবেক মৎস্য অভিযানে জেলেদের অটককৃত নৌকা নিলাম ডাকে পাওয়া ট্রলার মালিকদের নৌকা বুঝিয়ে দিতে আমি কোষ্টগার্ড পল্টুনে যায়। কিন্তু গেলেই অপমান জনক কথা বলেন সিসি ফরহাদ। একপর্যায় আমি আমার পরিচয় দিতে গেলে ইউএনওকেও অপমানজনক কথা কথা বলেন। ঘটনাস্থলে থাকা জেলে হাবিব জমামাদর, কাদির জমাদার, বাবুল, আইয়ুবআলী, নজুগাজি, কালু বয়াতি, ফারুক জমাদার সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান কোন কারণ ছাড়াই সিসি এবং ইউএনও’র সহকারী ফরহাদ কেন এমন আচরণ করলেন। তা বুঝতে পারলাম না। কোষ্টগার্ডের ভাষায় মনে হলো ইউএনও কিছুই না। ইউএনওকে যে ভাবে অপমানজনক কথা বলছেন, এটা কোন বাহিনীর বা সুস্থ্য মানুষের ভাষা-ব্যবহার হতে পারে না। আমাদের এক একটি নৌকায় সোলার, প্যানেল, গ্যাস সিলিন্ডার, ব্যাটারি, নগদ ৩০ হাজার টাকা এর কোনটাই পাই নি। এর হদিসও নেই।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইলাম জানান ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন। বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান তিনি। কোষ্টগার্ড ভোলা জোন অপারেশন অফিসার লেঃ শাকিল জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন তিনি। তবে কোষ্টগার্ডের কডেজেন্ট কমান্ডা শামিমুল হাসান বলেন, ঘটনার সময় আমি পন্টুনের উপরে ছিলাম। আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ৬টি ট্রলার জব্দ করেছি। ইউএনও স্যার সেই ট্রলারের নিলাম ডাক নিয়েছেন। ঘটনার সময় ১০-১৫ জন কোষ্টগার্ডের পন্টুনে আসে। কিন্তু কারো মুখে কোন মাস্ক ছিলনা। এই মাস্ক পড়া নিয়ে কোষ্টগার্ডের সিসি ফরহাদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছে। আমি মিমাংশা করতে গেলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে অফিস সহকারী ওয়াদুদ। আমরা আরো বলেছি ট্রলার নিতে হলে মৎস্য অফিসারকে লাগবে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৎস্য অফিসারকে পাঠিয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT