কীর্তনখোলা নদীতে স্থায়ী ভাবে বসছে সীমানা পিলার কীর্তনখোলা নদীতে স্থায়ী ভাবে বসছে সীমানা পিলার - ajkerparibartan.com
কীর্তনখোলা নদীতে স্থায়ী ভাবে বসছে সীমানা পিলার

3:06 pm , October 29, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অবশেষে কীর্তনখোলা নদীতে বসছে স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার। এক একটি পিলার ৩০ ফিট মাটির নিচে ও ২০ ফিট মাটির উপরে থাকবে। পাশাপাশি পিলারের সাথে জিপিএস ডিভাইস দেয়া হবে। কোন দখলদার যদি পিলার সরানো চেষ্টা করে তবে জিপিএস ডিভাইসের মধ্যে সংকেত দিবে। তাই যেন তেন পিলার না বসিয়ে ভাল ভাবে পিলার বসাবে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি “বেলা” আয়োজনে “কীর্তনখোলা নদী সংরক্ষণে করণীয়’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আজমল হুদা মিঠু সরকার এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাড. এসএম ইকবাল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস.এম. অজিয়র রহমান। অনুষ্ঠানে আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাকিব। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘রান’ নির্বাহী পরিচালক মোঃ রফিকুল আলম। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মুল্যবান মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার জোট সভাপতি ডাঃ সৈয়দ হাবিবুর রহমান, উন্নয়ন সংগঠক রনজিৎ দত্ত, কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, উন্নয়ন কর্মী মোঃ নসির উদ্দিন, সাংবাদিক পুলক চ্যাটার্জী, সাংবাদিক সাঈদ পান্থ, মোঃ মনিরুজ্জামান প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন, বরিশালের রূপ সৌন্দর্যের প্রধান নিয়ামক হচ্ছে এ অঞ্চলের নদী ও খাল। এই নদী পথেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে বরিশালের এবং বরিশাল জেলা শহরের সাথে খুলনা সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ষ্টীমার-লঞ্চ সার্ভিসের মাধ্যমে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী নদী কীর্তনখোলা। এক সময় এই নদীর রূপসৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বরিশালকে ‘বাংলার ভেনিস’ বলেছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সময়ের বিবর্তনে কীর্তনখোলার সেই সৌন্দর্য ধূয়ে মুছে গেছে। স্রোতস্বিনী উন্মুক্ত এ নদীর তীরে তীরে এখন গড়ে উঠেছে বহু অবৈধ স্থাপনা, শিল্প ও বর্জ্য দূষণ ক্রমাগত চলছেই। পরিকল্পিত খননের অভাবে এখন নৌ যোগাযোগ সংকটে পড়েছে। খালগুলোর উৎসমুখে পলিজমে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় কৃষিকাজ ব্যহত হচ্ছে। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে নদী ভাঙ্গন। তাই পূর্বের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এখনই সম্মিলিত ভাবে কাজ করে যেতে হবে’’। বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন- কীর্তনখোলার দখল-দূষণ ও ভাঙ্গন রোধে এবং এ নদীর নাব্যতা রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে সি.এস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা চিহ্নিতকরনসহ তালিকাভূক্ত দখলদার সহ সকল অবৈধ স্থাপনা অচিরেই উচ্ছেদ করা হবে। এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার সময় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা বসে নেই। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বরিশালের নদী খালের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ অচিরেই শুরু হবে। কথা নয় কাজ দিয়ে আমরা প্রমান রাখতে চাই। কীর্তনখোলাকে দখল-দূষণ মুক্ত করে শুধু কীর্তখোলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট যে দপ্তরগুলো রয়েছে তার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কীর্তনখোলার সীমানা চিহ্নিত করে দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বরিশালের ইতিহাস-ঐতিহ্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ সবকিছুই জড়িয়ে রয়েছে এই কীর্তনখোলাকে ঘিরে। তাই আমরা সবাই মিলে কীর্তনখোলাসহ বরিশালের নদীগুলো রক্ষায় কাজ করে যেতে চাই’’।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT