2:58 pm , October 4, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রশাসনের কঠোর তদারকি ও মনিটরিং এর ফলে নগরীর বাজার গুলোতে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। মাত্র ক’দিন পূর্বে পাইকার থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত বর্ধিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও তা এখন বন্ধ। গত কয়েক দিন ধরে সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের অভিযান এবং মোবাইল কোর্টের ফলে পেঁয়াজের মূল্য কমে গেছে। বর্তমানে বাজার দর অনুযায়ী পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং খুচরো বাজারে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা বেশি ৭৫ টাকায়। এমনটাই জানিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল হক সাইফুল। তারা জানান, ‘হঠাৎ করে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরালো করা হয়। এর অংশ হিসেবে গত দু’দিন পূর্বে নগরীর পেঁয়াজপট্টিতে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে পেঁয়াজের আড়তে অভিযান করেন তারা। ১২টি আড়তে অভিযান করলেও মাত্র ৩টিতে অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির প্রমান পাওয়া যায়। যে কারনে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার এবং গতকাল শুক্রবারও বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরো বাজারে অভিযান করা হয়। কিন্তু কোন বাজারেই অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিসিসি’র নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ এনামুল হক সাইফুল বলেন, ‘নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরীর পোর্ট রোড এবং পেঁয়াজ পট্টির ১০টি পেঁয়াজ এর আড়তে অভিযান করা হয়। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় পরিচালিত এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও মনিরা খাতুন। এছাড়াও র্যাবের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন খালেদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রতিটি পাইকারী ও খুচরা বাজারগুলোতে মূল্য তালিকায় পেঁয়াজের মূল্য ৭০ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত লেখা রয়েছে। ক্রেতাদের সাথেও আলাপ করা হয়েছে। তাঁরাও পেঁয়াজের মূল্য বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগকরেননি। এমনকি পেঁয়াজ মজুদ রাখার খবরও পাওয়া যায়নি।
তবে পোর্ট রোডের দক্ষিণ প্রান্তে দুটি খাবার হোটেলে জরিমানা করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং খাদ্যের নি¤œমানের কারনে হোটেল দুটিতে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়। এর মধ্যে ভোলা হোটেলকে ৫ হাজার ও বিশ^াস ভাইয়ের হোটেলের পিটার বিশ^াসকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার।