3:34 pm , July 22, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে নিজ অফিসের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলে দিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির। এতে গুরুতর অবস্থায় তার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী লাকি আক্তারকে (৩০) খাদ্য বিভাগের কর্মচারীরা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত গৃহবধূ লাকি আক্তার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পারশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির এর স্ত্রী। হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-৩ এর অধিনে চিকিৎসাধীন লাকি আক্তার জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী হুমায়ুন কবির কারনে অকারনে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে বলে। এ নিয়ে অনেক নির্যাতনও সহ্য করতে হয় তাকে। যে কারনে ২০১৪ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার কারনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরকে। পরে যৌতুক বা নির্যাতন না করার বিষয়ে মুচলেকা দিলে সন্তানের দিকে তাকিয়ে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মামলা তুলে নেন লাকি আক্তার।
তিনি বলেন, এর পর কিছুদিন মোটামুটি ভালোভাবেই কাটছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে হুমায়ুন করিব। সর্বশেষ গত ৬ মাস পূর্বে অফিসে পদোন্নতীর কথা বলে শ^শুর আবু হানিফ এর কাছে ৩ লাখ টাকা ধার চান। পরে মেয়ে ও নাতীর মুখের দিকে তাকিয়ে ৩ লাখ টাকা ধর করে জামাই খাদ্য কর্মকর্তা হুমায়ুনকে দেয়।
গৃহবধূ লাকি অভিযোগ করেন, স্বামী টাকা পরিশোধ না করে গত ৬ মাস ধরে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ এবং সংসারের খরচ দেয়া বন্ধ করে দেন ওই খাদ্য কর্মকর্তা। এর ফলে পাওনাদাররা এসে গৃহবধূ ও তার বাবার কাছে ধারের ৩ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য ধর্ণা ধরে।
সর্বশেষ বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূ নগরীর বান্দ রোডস্থ হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে স্বামীর কাছে হাজির হন। তিনি পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় স্ত্রীর উপর ক্ষুদ্ধ যান খাদ্য কর্মকর্তা স্বামী। এক পর্যায় সহকর্মীদের সামনেই প্রকাশ্যে ইট দিয়ে স্ত্রী লাকি বেগম এর মাথা থেতলে দেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক (ওসি-এলএসডি) নজরুল ইসলাম বলেন, কি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়েছে তা জানি না। তবে আমাদের সামনেই স্ত্রীকে মারধর করেন খাদ্য কর্মকর্তা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, পারিবারিক কারণে আমাদের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। তাও অফিসের অভ্যন্তরে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। এমনকি অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।তাদের খাদ্য অফিসে ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেতলে দিয়েছে কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে নিজ অফিসের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলে দিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির। এতে গুরুতর অবস্থায় তার স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী লাকি আক্তারকে (৩০) খাদ্য বিভাগের কর্মচারীরা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত গৃহবধূ লাকি আক্তার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পারশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির এর স্ত্রী। হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-৩ এর অধিনে চিকিৎসাধীন লাকি আক্তার জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী হুমায়ুন কবির কারনে অকারনে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে বলে। এ নিয়ে অনেক নির্যাতনও সহ্য করতে হয় তাকে। যে কারনে ২০১৪ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার কারনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হয় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরকে। পরে যৌতুক বা নির্যাতন না করার বিষয়ে মুচলেকা দিলে সন্তানের দিকে তাকিয়ে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মামলা তুলে নেন লাকি আক্তার।
তিনি বলেন, এর পর কিছুদিন মোটামুটি ভালোভাবেই কাটছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে হুমায়ুন করিব। সর্বশেষ গত ৬ মাস পূর্বে অফিসে পদোন্নতীর কথা বলে শ^শুর আবু হানিফ এর কাছে ৩ লাখ টাকা ধার চান। পরে মেয়ে ও নাতীর মুখের দিকে তাকিয়ে ৩ লাখ টাকা ধর করে জামাই খাদ্য কর্মকর্তা হুমায়ুনকে দেয়।
গৃহবধূ লাকি অভিযোগ করেন, স্বামী টাকা পরিশোধ না করে গত ৬ মাস ধরে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ এবং সংসারের খরচ দেয়া বন্ধ করে দেন ওই খাদ্য কর্মকর্তা। এর ফলে পাওনাদাররা এসে গৃহবধূ ও তার বাবার কাছে ধারের ৩ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য ধর্ণা ধরে।
সর্বশেষ বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূ নগরীর বান্দ রোডস্থ হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে স্বামীর কাছে হাজির হন। তিনি পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় স্ত্রীর উপর ক্ষুদ্ধ যান খাদ্য কর্মকর্তা স্বামী। এক পর্যায় সহকর্মীদের সামনেই প্রকাশ্যে ইট দিয়ে স্ত্রী লাকি বেগম এর মাথা থেতলে দেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক (ওসি-এলএসডি) নজরুল ইসলাম বলেন, কি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়েছে তা জানি না। তবে আমাদের সামনেই স্ত্রীকে মারধর করেন খাদ্য কর্মকর্তা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, পারিবারিক কারণে আমাদের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। তাও অফিসের অভ্যন্তরে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। এমনকি অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।