লুডুর জুয়ার পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুকে খুন লুডুর জুয়ার পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুকে খুন - ajkerparibartan.com
লুডুর জুয়ার পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুকে খুন

3:24 pm , November 4, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মোবাইল ফোনের লুডু খেলার জুয়ার পাওয়া টাকা নিয়ে নগরীতে ছুরির আঘাতে বন্ধু নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর আমানতগঞ্জ মুর্গির ফার্ম এলাকাধীন কসাইবাড়ি পুল সংলগ্নে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন (২৪) নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এবং বাজার রোড প্রিয় ভান্ডারের কর্মচারী। তিনি ভোলা সদর উপজেলার দীঘলদি এলাকার মোহাম্মদ আলী’র ছেলে। হামলাকারী সুমন আমনতগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজের পেছনে মসজিদ সংলগ্নের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তার গ্রামের পটুয়াখালীতে। ঘটনার পর থেকেই সুমন আত্মগোপনে রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের বন্ধু সোহাগ জানায়, ‘রুহুল আমিন তার বন্ধু সুমনের কাছে ২০ হাজার টাকা পাবে। তাছাড়া রুহুল আমিনের কাছে ৬ হাজার টাকা পাবে সুমন।
সোমবার সকালে রুহুল মোবাইল ফোনে সুমনের কাছে টাকা চায়। এ সময় সুমন তার পাওয়া ৬ হাজার টাকা কেটে দিয়ে বাকি ১২ হাজার টাকা দিবে বলে যায়। তবে রুহুল আমিন ওরফে নুরনবী তার কাছে ২০ হাজার টাকাই দাবি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মুঠোফোনে ঝগড়া হয়। সোহাগ জানায়, পরবর্তীতে বিকেল ৩টার দিকে আমানতগঞ্জ কসাইবাড়ির পুল এলাকায় সুমন ও রুহুল আমিনের দেখা হয়। সেখানে পুনরায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন রুহুল আমিন সুমনকে ধাক্কা দেয়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে থাকা চাকু বের করে রুহুল আমিনের হাতে এবং গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সোহাগ ও রিপন মুমূর্ষ অবস্থায় রুহুলকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। সোহাগ ও রিপনের দাবি ঘটনার পর সুমন যে চাকু দিয়ে কুপিয়েছে সেটা পাশর্^বর্তী একটি খালে ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। নিহতের শ^শুর শফিউল ইসলাম জানান, ‘রুহুলের ১৪ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ঢাকায় চাকরী করত। সেখান থেকে নগরীতে এসে বাজার রোডে চাকরী নেয়। রুহুল ও সুমন একে অপরের বন্ধু। তবে কি কারনে রুহুলের উপর এ হামলা তা জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে নিহত ও হত্যারকারীর কয়েকজন বন্ধুরা জানিয়েছে, ‘সুমন ও রুহুলের মধ্যে যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ হয়েছে সেটা জুয়ার টাকা ছিল। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় মোবাইল গেমস ‘লুডু কিং’ খেলায় বাজি ধরে রুহুল ২০ হাজার এবং সুমন ৬ হাজার জেতে। অবশ্য ইতিপূর্বে সুমন আরও টাকা জিতে ছিল। রুহুলের সঙ্গে লুডু’র জুয়া খেলেই সেই টাকা পরিশোধ করে। বাকি ৬ হাজার টাকাও একই ভাবে পরিশোধ করতে চায়। কিন্তু তা না করে পাওনা ২০ হাজার টাকাই দাবি করে বসে রুহুল আমিন ওরফে নুরুনবী। আর এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই প্রান গেল রুহুল আমিনের।
এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ‘নিহতের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানা গেছে পাওয়া টাকা নিয়েই রুহুল ও সুমনের মধ্যে বিরোধ হয়। সে পাওনা টাকা কিসের সেটা জানা যায়নি। তবে হামলাকারী সনাক্ত হয়েছে। তাকে গ্রেফতার এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT