6:01 pm , May 2, 2018

শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর ॥ বড় ভাই নাইমের উপর প্রতিশোধ নিতে ছোট ভাই মাদ্রাসা ছাত্র ছাইয়ুম বিশ্বাসকে (১১) হত্যা করে বখাটে। উজিরপুরের সাতলার চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা ছাত্র হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বখাটে মিলন ফকিরকে (১৭) পুলিশ আগৈলঝরা উপজেলার বাগদা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের সময় নিহত ছাইয়ুমের সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি হত্যাকারী মিলনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কঠোর গোপনীয়তায় আদালতে নেয়া হলে গতকাল বুধবার বরিশাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ গোলাম ফারুকের নিকট প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে হত্যাকান্ডের সাথে নিজে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে ঘাতক মিলন। পরে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন আগৈলঝরা উপজেলার বাগদা গ্রামের আলম ফকিরের পূত্র মিলন ফকির মাদ্রাসা ছাত্র সাইয়ুম কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন মিলন তার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইল ফোনে গেমস খেলা ও ছবি দেখার জন্য সাইয়ুমকে নিয়ে সাতলা গ্রামের রহিম বিশ্বাসের বাড়ির ছাদে উঠেন দুজনেই। সাইয়ুমের বড় ভাই নাইম মিলনকে প্রায়ই মারধর করত বলে মিলন সাইয়ুমের কাছে বিচার দেয়। ঘাতক মিলনের সাথে এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে উত্তেজিত মিলন সাইয়ুমকে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে তার দেহটি টেনে অন্যত্র সরিয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা ছাত্রর পিতা মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে ২৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার ৩দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হয় ও হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মিলনকে গ্রেফতার করে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ক্লু উদঘাটনে কাজ শুরু করে। ৩ দিনের মধ্যেই কাউকে হয়রানী না করে ঘটনার মুল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।