৭ই মার্চের ভাষণ অসম সাহসিকতায় প্রচার করেছিলো বেতার -ববি উপাচার্য ৭ই মার্চের ভাষণ অসম সাহসিকতায় প্রচার করেছিলো বেতার -ববি উপাচার্য - ajkerparibartan.com
৭ই মার্চের ভাষণ অসম সাহসিকতায় প্রচার করেছিলো বেতার -ববি উপাচার্য

4:16 pm , February 13, 2024

বরিশাল বেতারকেন্দ্রে বিশ্ব বেতার দিবসের আলোচনা

পিআইডি ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, অসম সাহসিকতায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করেছিলো বেতার। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট ছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পৃথিবী বহুদূরে এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ন্যানোপ্রযুক্তির এই যুগেও কার্যকর যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বেতারের প্রাসঙ্গিকতা কমেনি। বরং বিভিন্ন উন্নত দেশ এবং বিবিসি-র মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রচার কার্যক্রমে আজও বেতারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তিনি বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে তথ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে এক্ষেত্রে বেতারের কার্যকর ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করেন।
গতকাল সকালে বরিশাল বেতারকেন্দ্রে সভাকক্ষে বিশ্ব বেতার দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক কিশোর রঞ্জন মল্লিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহনামার সম্পাদক কাজী আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক স্বপন খন্দকার, আজকের পরিবর্তন সম্পাদক কাজী মিরাজ, আজিজ শাহীন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, শব্দসৈনিক, বেতারের শ্রোতা, শিল্পী, ঘোষক, সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী এবং বেতারের কর্মকর্তা ও শুভানুধ্যায়ীরা।
বক্তারা বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও শ্রোতাদের জন্য মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে বেতার। কৃষি, আবহাওয়া, শিশুতোষ ইত্যাদি নানাবিধ রুচিসম্পন্ন শ্রোতার জন্য নানান ঘরানার কনটেন্ট তৈরি করে চলেছে বাংলাদেশ বেতার। বিভিন্ন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে যেসব দুর্গম স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক, টেলিভিশন সংযোগ কিংবা সংবাদপত্র পৌঁছাতে পারে না, সেসব স্থানেও কার্যকর গণমাধ্যম হিসেবে মানুষের আস্থা রয়েছে বেতারের ওপর।
বক্তারা আরও বলেন, বেতার প্রযুক্তি আবিষ্কার ও বাণিজ্যিক বেতার প্রচলনের শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদন চাহিদাপূরণে বেতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এজন্যই সময় ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে অতীতের ব্যাটারিচালিত রেডিও সেট ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়ে বেতার প্রযুক্তি আজ আমাদের সবার মুঠোফোনে পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃশ্যমান কনটেন্টের চাহিদা বেশি থাকলেও ফোন-ইন-প্রোগ্রাম ও পডকাস্টের মতো অডিও প্রোগ্রামের কদরও দিন দিন বাড়ছে। ফলে মানুষের জীবনে ব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে অদূর ভবিষ্যতে আবারও অডিও কনটেন্টের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে পারে, যে চাহিদাপূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বেতার।
সভাপতির বক্তব্যে বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, বেতারের সমৃদ্ধ অতীত, প্রাসঙ্গিক বর্তমান ও আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যত রয়েছে। আগে বেতারের মোট প্রচারণার ৬০ শতাংশই সংগীতনির্ভর হলেও বর্তমানে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও সচেতনতামূলক কনটেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসময়ে তিনি আগামী বছরগুলোতে আরও বড় পরিসরে বিশ্ব বেতার দিবস অনুষ্ঠানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর আগে বেতার চত্বরে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। উদ্বোধনের পর দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT