3:37 pm , January 26, 2023

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন কেডিসি কলোনীতে গত একসপ্তাহ ধরে পানি সংকটে হাহাকার তৈরি হয়েছে। ব্র্যাকের পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে স্থাপিত একমাত্র পানি উত্তোলন সাব স্টেশনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই সংকট তৈরি হয়। ফলে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ্ কবীরের অনুরোধে এখানে প্রতিদিন সিটি করপোরেশন থেকে একটি পানি বহনকারী মিনি ট্রাকে এলাকার জন্য পানি সরবরাহ করছে। যা পর্যাপ্ত নয় বলে স্বীকার করেন কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ্ কবীর নিজেই। তিনি জানান, বিষয়টি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে জানিয়েছেন।
এদিকে কেডিসি কলোনীর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী শিল্পী কর্মকার প্রতিবেদককে ছবি তুলতে দেখে ছুটে এসে জানালেন, আমাদের পানি সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। পানি সমস্যায় জর্জরিত নগরীর বস্তিবাসীদের নিজেদের পানি উত্তোলনের মেশিন কিনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র। মেশিন স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তিনি সিটি করপোরেশন থেকে বহন করবেন বলে দাবী করেন শিল্পী কর্মকার। এসময় তিনি আরো বলেন, কেডিসি এলাকায় আগে ২৩০ ঘর ছিলো। এখন তা বেড়ে ৪০০ এর বেশি হয়েছে। এতো লোকের চাপ সামাল দিতে গিয়ে ব্র্যাকের দেয়া মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মেয়র মহোদয় আমাদের নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে মেশিন কিনে নিতে বলেছেন। একটি মেশিন কিনতে ৮৪ হাজার টাকা দরকার হবে।
১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ্ কবীর বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ইচ্ছে করলেই এটা নিজে কিনে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি বলেছেন, নিজেদের টাকায় কিনলে সেটির প্রতি এলাকাবাসীর একটি মায়া তৈরি হবে। ফলে তারা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারে সচেতন হবেন।
শহীদুল্লাহ্ কবীর আরো বলেন, আমি নিজে তাদের ডেকে বলেছি ঘরপ্রতি একটা চাঁদা ধার্য করে নিতে। কারো প্রতি যেন কোনো জুলুম বা জবরদস্তি না হয় তাও আমরা লক্ষ্য রাখবো।
তিনি বলেন, চারশো নয়, হয়তো সাড়ে তিনশো পরিবার হবে এখন।
কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেত্রীর কথানুযায়ী এখানের বাসিন্দারা অনেকেই এ টাকা দেয়ার সামর্থ্য রাখেননা। সেক্ষেত্রে যে টাকা কম পড়বে তা কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ভাগ করে দেবেন কিংবা সিটি মেয়র নিজেই দেবেন বলে জানা গেছে।