3:33 pm , January 22, 2023
রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি শহরে ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে দাড়িয়ে আছে দু’টি সরকারী কলেজ। তারমধ্যে একটি ঝালকাঠি শহরের উত্তর প্রান্তে বরিশাল-পিরোজপুর বিশ্বরোড সংলগ্ন অবস্থিত ঝালকাঠি সরকারী কলেজটি অনেক পুরাতন। অন্যদিকে শহরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ঝালকাঠি সরকারী মহিলা কলেজ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ঝালকাঠি সরকারী মহিলা কলেজ। ইতিবাচক পরিবর্তনে বদল যাচ্ছে কলেজের দৃশ্যপট। নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের পর পড়াশুনার ফিসহ শিক্ষায় নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেশ কিছু সমস্যার পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে পূর্বের কিছু অনিয়ম।
১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি মাসে জেলা শহরে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালের ৭ এপ্রিল নারী শিক্ষার এ বিদ্যাপীঠ জাতীয়করণ হয়। বর্তমানে একাদশ থেকে দুটি অনাস কোর্সসহ এ প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্রী সংখ্যা ১৮’শত। ভাল ফলাফল অর্জনে শুরু থেকেই মহিলা কলেজের সুনাম সৃষ্টি হয়। তবে বিভিন্ন সময় কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রফেসার মো: হেমায়েত উদ্দিন নতুন অধ্যক্ষ হয়ে যোগদান করেন। অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কলেজে ছাত্রীদের আবাসিক হোস্টেলে সবচেয়ে বেশি অব্যবস্থাপনা ছিলো। সেখানে ডাইনিং, খাবার পানি সরবরাহ, রান্নাসহ প্রায় সবক্ষেত্রেই ঢেলে সাজাতে হয়েছে। আর এটা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ফান্ড থেকেই করা হয়েছে। কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হনুফা আক্তারকে ছাত্রী হোস্টেলের নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিনের সংকটের পর ক্লাসের জন্য নতুন বেঞ্চ কলেজ ফান্ড থেকে কম খরচে তৈরি করে সংকট সমাধান করা হয়েছে। অবকাঠামো ও নিরাপত্তায়ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, “সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে ছাত্রীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে। ভর্তির ক্ষেত্রে বিগত বছরের তুলনায় সর্বাধিক ৬’শ টাকা কমিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যাতে নূন্যতম ফিতে এখানে পরাশুনা করতে পারে তার ওপর সবার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, বলেন অধ্যক্ষ প্রেফসার মো: হেমায়েত উদ্দিন।”