ঝালকাঠির শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যুগ ধরে ইসলাম শিক্ষা বঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থী ঝালকাঠির শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যুগ ধরে ইসলাম শিক্ষা বঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থী - ajkerparibartan.com
ঝালকাঠির শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যুগ ধরে ইসলাম শিক্ষা বঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থী

3:07 pm , November 13, 2022

ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ বছর ধরে নেই মুসলিম শিক্ষক। এ বিদ্যালয়ে ১৯৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মুসলিম শিক্ষার্থী রয়েছে শতাধিক। তাই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত ওই বিদ্যালয়ের মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পদে দীর্ঘদিন যাবত হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন করছেন। যার কারণে মুসলিম শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সে ব্যাপারে গুরুত্ব নেই। জানাগেছে, ঝালকাঠির শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষকবিহীন প্রায় ১৫ বছর যাবত চলছে একাডেমিক পাঠদান। ইসলাম ধর্মশিক্ষা ক্লাসবিহীন প্রতিষ্ঠানটি চলছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। এলাকাবাসি জানান, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে এখানে কোন মুসলিম শিক্ষক যোগদান করতে পারছে না। গত ১৪ জুন ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার জসিম আহমেদ এক অফিস আদেশে সদর উপজেলার বংকুরা সরকারী প্রাবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা খানমকে শ্রীমন্তকাঠি বিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেন। যার স্মারক নং- ৫৫৪/৪, তারিখ ১৪ জুন ২০২২। কিন্তু খাদিজা খানম এই অফিস আদেশ পেয়েও যোগদান করেননি নতুন কর্মস্থলে। শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষক কল্পনা ইন্দু জানান, আমি ২০১০ সালে যোগদান করার পর কোন মুসলিম শিক্ষক পাইনি। স্কুল পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন মেয়াদে একাধিক পদে মুসলিম সদস্য থাকলেও সভাপতি পদে হিন্দু ধর্মের লোকজনই থাকছে। উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কাঙ্খিত রেজাল্ট আসেনি। এতে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী ইমলাম ধর্ম শিক্ষা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই স্কুলে ১ জন মুসলিম শিক্ষক খুবই জরুরীভাবে প্রয়োজন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল জানান, আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এবিষয়ে অনেক যোগাযোগ করেছি শুধু সমাধানের আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু কোন বাস্তবায়ন আমরা পাইনি। এসব বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার জসিম আহমেদ জানান, বংকুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা খানম নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলে তার স্কুলটি মুসলিম শিক্ষক শুন্য হওয়ায় তার অফিস আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। প্রায় ৩ বছর যাবত বদলি আদেশ বন্ধ থাকায় নতুন শিক্ষক দেয়া সম্ভব হয় নাই। এখন অনলাইনে বদলীর ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ইলা মন্ডল নামে এক শিক্ষকের পদায়ন হলে তিনি ওখানে যোগদান করেছেন। তবে কিভাবে ওখানে একজন মুসলিম শিক্ষক দেয়া যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণে চেস্টা চলছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, বিষয়টি জানা ছিলো না। শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT