পাঙ্গাশে খুশি ভোলার জেলেরা  পাঙ্গাশে খুশি ভোলার জেলেরা  - ajkerparibartan.com
পাঙ্গাশে খুশি ভোলার জেলেরা 

3:01 pm , October 30, 2022

মো. আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ অমাবশ্যার জো আর সিত্রাংয়ের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মেঘনায় প্রচুর পরিমানে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে পাঙ্গাশ মাছ। আর এতে বেশ খুশি সাধারন জেলেরা। ভালো দাম পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে এমনটাই আশা এখন জেলেদের। তাই ইলিশের চেয়ে পাঙ্গাশেই খুশি মেঘার পাড়ের জেলেরা। গত ২৮ আক্টোবর মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জাল নৌকা নিয়ে মেঘনায় নেমে পড়ে সাধারন জেলেরা। তবে ইলিশের জালে যখন বড় বড় পাঙ্গাশ উঠছে তখন আনন্দটাই আলাদা। বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ জেলেদের মাঝে। এজন্য সিত্রাং এবং অমাবশ্যা আশির্বাদ হয়ে এসেছে এসব জেলেদের জন্য। পিছনের সব কস্ট মুছে মুছে গেছে ১০/১২ কেজি বা তার চেয়ে বড় আকারের পাঙ্গাশ দেখে। খুশির কথা বলতে গিয়ে মেঘনার জেলে মো. কিবরিয়া বলেন, আল্লাহ গরীবের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে। ইলিশের পাশাপাশি বড় বড় পাঙ্গাশ মাছ উঠছে জালে। পাঙ্গাশ বিক্রি করেই পুর্বের ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারবো আশা করছি। একই কথা বলেন, ছগির ও সোলেমান মিয়া। তাদের মতে ইলিশের পাশাপাশি যেভাবে পাঙ্গাশ ধরা পড়ছে তা অব্যাহত থাকলে ২২ দিনের নিষিদ্ধ সময় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠে লাভের মুখ দেখতে পারবো। তবে তাদের ভয় হচ্ছে নদীতে প্রভাবশালীদের নিষিদ্ধ জাল। প্রভাবশালীদের জন্য নদীতে জাল ফেলা যায় না। একই ভাবে নিষিদ্ধ জাল সবচেয়ে সমস্যা করে।
রোববার ভোলা সদর উপজেলার  তুলাতলী, নাছির মাছি, ভোলার খাল, ইলিশা ও কাঠির মাথা মাছ ঘাটে দেখা গেছে জোয়ারের সময় প্রচুর পরিমানে ছোট-বড় ইলিশের পাশাপাশি পাঙ্গাশ মাছ নিয়ে জেলেরা নৌকায় করে নিয়ে এসেছে। ক্রেতারাও ভির করেছে মাছ কেনার জন্য। শহর থেকে নজরুল ইসলাম এসেছেন ইলিশ কিনতে। তাজা নদীর পাঙ্গাশ দেখে তিনি লোভ না সামলাতে পেরে ১০ কেজির একটা পাঙ্গাশ কিনে নিয়েছে। তার মতে ইলিশের চেয়ে পাঙ্গাশ দামেও কম আর এখন স্বাদ বেশি তাই কিনে নিয়েছেন।
অপরদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যা বলেন, এ বছর সবচেয়ে সফল অভিযান হয়েছে নদীতে। যে কারনে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারেনি। একই সাথে অমাবশ্যার জো আর সিত্রাংয়ের ফলে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫/৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে বেশি পানি আর নতুন পরিবেশ পেয়ে মাছ বিনা বাঁধায় উপরে উঠে এসেছে। একই সাথে এখন বেশ ভালো ইলিশ ও পাঙ্গাশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। ফলে জেলেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছে। একই সাথে নদীকে নিষিদ্ধজাল মুক্ত করা আমার প্রধান কাজ। অনেক নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে দিয়েছি। নিষিদ্ধ জালের বিষয় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT