বরিশাল বিভাগে মৎস্য খাতে ক্ষতি ২৬ কোটি টাকারও বেশি বরিশাল বিভাগে মৎস্য খাতে ক্ষতি ২৬ কোটি টাকারও বেশি - ajkerparibartan.com
বরিশাল বিভাগে মৎস্য খাতে ক্ষতি ২৬ কোটি টাকারও বেশি

3:06 pm , October 25, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদী ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে বরিশাল বিভাগের মৎস্য খাতে ২৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিভাগের ৬ জেলার ১২ হাজার ১২ টি দীঘি, পুকুর ও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোলা জেলায়। এ জেলায় ৬ হাজার ২৮০ টি  দীঘি, পুকুর ও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৩৭.৩৭ মেট্টিক টন মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমান ৬ কোটি ৫৬ লাখ ৪ হাজার টাকা।
এরপর ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এ জেলায় ২ হাজার ১৩২টি দীঘি, পুকুর ও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির শিকার হয়েছেন এক হাজার ৮৫০ জন খামারী। ৪১৪ মেট্টিক টন মাছ ভেসে গেছে। এর মধ্যে নার্সারী মালিকের মাছের পোনা রয়েছে ৪৩ লাখ। মাছ ভেসে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পোনা ভেসে যাওয়ায় নার্সারী মালিকের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকার। নৌকা ও ট্রলার ডুবেছে ৫০টি। পটুয়াখালীতে মোট ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
এরপরে রয়েছে বরিশাল জেলা। এ জেলায় ১ হাজার ৮৪৩টি দীঘি, পুকুর ও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪১৬ জন খামারী। ভেসে গেছে ৫৮৫ মেট্টিক টন মাছ। এর মধ্যে পোনা ২৪ লাখ। ক্ষতি হয়ে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পোনা ভেসে গেছে ৫৪ লাখ টাকার। অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৯৯ লাখ টাকার। মোট ক্ষতি হয়েছে ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ঝালকাঠি জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৯১৪ টি দীঘি, পুকুর ও খামার। ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা ৮৩১ জন। মাছ ভেসে গেছে ৮৩.৭০ মেট্টিক টন। নার্সারী থেকে পোনা ভেসে গেছে ২ লাখ ১১ হাজার। ভেসে যাওয়া মাছের মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার টাকা। ভেসে যাওয়া পোনার মূল্য ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। অবকাঠামোগত ক্ষতি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। মোট ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার টাকা।
বরগুনা জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৪৬৮ দীঘি, পুকুর ও খামার। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীর সংখ্যা ৩৯৩ জন। মাছ ভেসে গেছে ৮৩ মেট্টিক টন। নার্সারী থেকে পোনা ভেসে গেছে দুই লাখ। ভেসে যাওয়া মাছে ক্ষতি হয়েছে ৯৯ লাখ টাকা। সাত লাখ টাকার পোনা ভেসে গেছে। নৌকা ও ট্রলার ডুবেছে ৫টি। ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ টাকা। অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে ৮ লাখ টাকা। মোট ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকা।
পিরোজপুর জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৩৭৫টি দীঘি, পুকুর ও খামার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪১৯ জন। মাছ ভেসে গেছে ১২৭ মেট্টিক টন। ভেসে যাওয়া মাছের মূল্য এক কোটি ৯২ লাখ টাকা। অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের ভরতকাঠি গ্রামের মাছের খামারী বাপিন ব্যানার্জি জানান, খয়রাবাদ নদীর পানি বেড়ে যাওয়া, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে পুকুর ডুবে গেছে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT