নিত্যপণ্যের দাম নিন্ম ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের দাম নিন্ম ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে - ajkerparibartan.com
নিত্যপণ্যের দাম নিন্ম ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে

3:42 pm , September 24, 2022

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও সবজির দাম এখনো নি¤œ ও নি¤œÑমধ্যবিত্তের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের সংখ্যা গরিষ্ঠ মনুষ যথেষ্ট কষ্টে আছেন। এসব শ্রেণীর মানুষের এখন সংসারের চাকা সচল রাখাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। খরচের লাগাম টেনেও সংসার ব্যয় নির্বাহে কোন স্বস্তি নেই। ফলে হতাশা ভর করছে দক্ষিণাঞ্চলের নি¤œবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মাঝে। অনেকেই দোকানে ও বাজার দেখা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রশ্নও করছেন ‘নিত্য পণ্যের দাম যে বাড়ল, তা কমবে কবে ?’ অতীতে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার যেসব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতো , তা অনুপস্থিত গত রমজানের পর থেকেই। ফলে মানুষের দুর্ভোগ আর কষ্ট লাঘবের কোন লক্ষন নেই। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে মধ্যম মানের ‘বিআর-২৮ বা আঠাশ বালাম’ চালের কেজি এখন ৫৫ টাকা। এ অঞ্চলে সর্ব নি¤œমানের চালের কেজি এখন ৪৮ টাকা। ভাল মানের মিনিকেট চালের কেজি ইতোমধ্যে ৭৫ টাকা অতিক্রম করেছে। চালের মূল্য বৃদ্ধি রোধে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৮ হাজার টন চাল দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলায় খোলা বাজারে বিক্রি করছে সরকার। একই সাথে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাগুলোর বাইরে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি কার্যক্রম চলছে। গত বছর অবশ্য এ চালের কেজি ছিল ১০ টাকা। তবে এবার এ চাল বিক্রির তেমন কোন সুফল এখনো বাজারে মিলছে না। দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম গঞ্জে এ সময়ে কৃষি শ্রমিক ও দিন মজুরদের তেমন কোন কাজ না থাকায় নি¤œবিত্ত মানুষের আর্থÑসামাজিক অবস্থাও অনেকটাই নাজুক। করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এ অঞ্চলের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে যে আর্থিক সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। সাথে নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতি গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে আরো নড়বড়ে করে দিয়েছে। শনিবার বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকায়। রসুন ও আদার দাম সহনীয় থাকলেও আলুর কেজি এখনো ২৮-৩০ টাকা। এমনকি শ্রাবন ও ভাদ্রের পূর্ণিমায় ভর করে দু দফার অতিবর্ষণে গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশীরভাগ এবং আগাম শীতকালীন সবজির প্রায় পুরোটাই বিনষ্ট হওয়ায় বাজারে এর দাম এখন চড়া। ৪০ টাকার নিচে এখন আর কোন সবজি মিলছে না বাজারে। বরবটিসহ কোন কোন সবজির কেজি ৮০ টাকায়ও উঠেছে। করলার কেজি ৬০ টাকা। বাজারে মুসুর ডালের কেজি এখনো ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, মুগডালের কেজি ১২০-১৩০ টাকা, খেসারী ডালের কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। দাম কমানোর ঘোষনার পরেও নগরীসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে শনিবারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৯০Ñ৯৫ টাকায়। সয়াবিন তেলও শনিবারে বিক্রি হয়েছে ১৯০Ñ১৯৫ টাকা লিটারে। ব্রয়লার মুরগীর কেজি এখনো ১৭০Ñ১৮৫ টাকা কেজি। গরুর গোশতের কেজি ৭শ টাকা। খাসির গোশতের কেজি সাড়ে ৮শ টাকা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT