গৌরনদীতে লুট করা স্বর্নালংকার ও অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার গৌরনদীতে লুট করা স্বর্নালংকার ও অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার - ajkerparibartan.com
গৌরনদীতে লুট করা স্বর্নালংকার ও অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার

3:53 pm , September 22, 2022

গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদীতে তিনমাস পূর্বে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতিতে ব্যবহৃত দেশীয় তৈরি অস্ত্র, লুট করা স্বর্নালংকার ও অর্থ। বৃহস্পতিবার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, ঢাকা ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি করে চায়নিজ কুড়াল, ছোরা, চাকু, দেশীয় তৈরি পিস্তল, প্লাস ও রেইঞ্জ এবং ৮ রাউন্ড গুলি, স্বর্নের নাক ফুল, দুই জোড়া কানের দুল, একটি গলার হার। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো : বরগুনার আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু (৪৭), একই জেলার তালতলী উপজেলার বেতিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের প্যাদার ছেলে তৈয়ব আলী ওরফে হারুন (৫৭), একই গ্রামের সৈয়দ ফকিরের ছেলে আমিনুল ফকির (২৪), পটুয়াখালী সদর উপজেলার তিতকাটা গ্রামের সোহরাব সিকদারের ছেলে ছগির সিকদার সবুজ (২৫), একই উপজেলার পসারিবুনিয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মীরার ছেলে মোতালেব মীরা পনু (৩৯) গৌরনদী  উপজেলার চর রমজানপুর এলাকার সেলিম সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম পারভেজ (২০) এবং নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানাদীন উত্তর চর কাকড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে মোঃ শাহীন আলম (৩১)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১১ জুন গৌরনদী উপজেলার কেফায়েতনগর এলাকার তানিয়া বেগমের জানালার গ্রীল কেটে ডাকাত দল প্রবেশ করে। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা মুখ বেধে নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, মামলা দায়েরের পর গৌরনদী থানার পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান।
যার মধ্যে পারভেজ ও পনু বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পরিদর্শক হেলালউদ্দিন জানান, তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডাকাত দলের মুলহোতা দিলুকে গ্রেপ্তারের জন্য একটানা তিনদিন অভিযান করা হয়। এক পর্যায়ে দিলুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিদর্শক হেলাল জানান, আন্তজেলা ডাকাত দলের নেতা দিলুর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে।
হেলালউদ্দিন বলেন, দিলু ও হারুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকার পূর্ব জুরাইন এলাকার দুলাল স্বর্ণকারের মালিকানাধীন সুমাইয়া জুয়েলার্স থেকে লুট করা স্বর্নালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডাকাতি ও চুরির স্বর্নালংকার কেনাবেচার সহযোগী শাহীন আলমকে।
গ্রেপ্তার হওয়া দিলু, হারুন, আমিনুল ফকির ও ছগির সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গৌরনদী উপজেলার কেফায়েতনগর এলাকায় উপজেলার মাহিলারা গ্রামের বাসিন্দা জিনাত আলী ফকিরের ছেলে আবুল বাশার ফকির ওরফে ফটিক ফকিরের মুদির দোকানে অভিযান চালানো হয়।
বুধবার মধ্যরাতে চালানো ওই অভিযানে ফটিক ফকিরের দোকানের পাটাতনের নিচ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্য থেকে দেশীয় তৈরি একটি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি, একটি লোহার তৈরি রেঞ্জ, একটি প্লাস, একটি চাপাতি, একটি বাংলা দা ও নগদ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তবে ফটিক ফকিরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গৌরনদী সার্কেল) এসএম আল বেরুনী।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT