3:23 pm , September 20, 2022
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমন পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৬২ জনের করোনা সংক্রমনের কথা জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৫৪ হজার অতিক্রম করে আরো ৫৭ জন যোগ হয়েছে। গত ৫ দিনে মহানগরীসহ বরিশাল জেলায়ই আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে এ অঞ্চলে ১৫২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আগষ্টের ৩১ দিনে এ অঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৮। তবে জুলাই মাসে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা পজিটিভ শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৮৭৩। জুলাই মাসে করোনা সংক্রমনে ৩ জনের মৃত্যু হলেও এর পর থেকে সেই ধরনের দু:সংবাদ নেই। জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭১। এছাড়া গত মার্চে ১২০ জন, এপ্রিলে ৭ জন এবং মে মাসে মাত্র ৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ উপজেলায়।
গত তিন দিনে মহানগরীসহ বরিশাল জেলার সাথে পিরোজপুরের পরিস্থিতি অবনতিশীল। মঙ্গলবার সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্ত ২০ জনের ১৩ জনই ছিল মহানগরীসহ বরিশাল জেলায়। ৩ জন পিরোজপুরে। ১৯ সেপ্টেম্বর মোট আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে ১১ জনই ছিল মহানগরী সহ বরিশাল জেলায়। ৪ জন পিরোজপুরে। ১৮ সেপ্টেম্বর শনাক্ত ৫ জনের দুজন বরিশালে, অপর ১ জন ঝালকাঠীতে এবং ২ জন বরগুনায়। ১৭ সেপ্টেম্বর কোন নমুনা পরীক্ষা ছিল না, ফলে কেউ শনাক্ত হয়নি। ১৬ সেপ্টেম্বর শনাক্ত ১৯ জনের ১৩ জনই মহানগরীসহ বরিশালে। ৩ জন ঝালকাঠীতে। এছাড়া পটুয়াখালী, ভোলা ও পিরোজপুরে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর শনাক্ত ১৯ জনের এ মহানগরীসহ বরিশাল জেলায় ছিল ১৩ জন। এছাড়া ভোলাতে ৩ ও পটুয়াখালীতে দুজন ছাড়াও ঝালকাঠীতে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে শনাক্ত ৫৪ হাজার ৫৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যাটা বরিশালে, ২১ হাজার ৯৫৯ জন। যার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজারই বরিশাল মহানগরীতে। মহানগরীতে ১০৫ জনসহ এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জনের। দ্বিতীয় সর্বাধীক আক্রান্তের জেলা ভোলাতে করোনা পজিটিভ শনাক্তের সংখ্যা ৮ হাজার ২৮ জন। এ দ্বীপ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। পটুয়াখালীতে ৭ হাজার ১৬৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১১০ জন। পিরোজপুরে ৬ হাজার ৪১৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বাধিক মৃত্যু হারের বরগুনাতে ৪ হাজার ৭৬৩ জন আক্রান্তের মধ্যে ৯৯ জন মারা গেছেন। আর দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠীতে ৫ হাজার ৭২৫ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭২ জন মারা গেছেন। অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫২ হাজার ৯৩২ জন।