দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও বিপদসীমার উপরে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও বিপদসীমার উপরে - ajkerparibartan.com
দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও বিপদসীমার উপরে

3:48 pm , July 17, 2022

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পূর্ণিমার ভরা কাটাল কেটে যাওয়ায় ফুসে ওঠা সাগর কিছুটা শান্ত হবার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করলেও এখনো বিপদসীমার উপরে। গত ৪৮ ঘন্টায় মেঘনা, তেতুলিয়া, বুড়িশ^র, বলেশ^র, কঁচা, কীর্তনখোলা, বিষখালী ও পায়রা সহ সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের আমন বীজতলা সহ বিপুল ফসলী জমি প্লাবনের আশংকা মূক্ত। তবে এবার ভরা আষাঢ়ের মত শ্রাবনেও দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতে সব ধরনের ফসল ঝুকির মুখে রয়েছে। আমন বীজতলা তৈরী সহ রোপন পরবর্তী পরিচর্যাও ব্যাহত হওয়ায় আবাদ ও উৎপাদন নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা কাজ করছে কৃষকদের মাঝে।
আষাঢ়ের পূর্ণিমার ভরা কাটালে গত দু সপ্তাহ জুড়েই দক্ষিণাঞ্চলের মাঝারী থেকে বড় নদ-নদীগুলো বেশীরভাগ এলাকায় বিপদসীমা অতিক্রম করে দুইকূল ছাপিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে পূর্ণিমা কেটে যাবার পরে শুক্রবার রাতেই সাগর শান্ত হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে উপকূল ভাগ সহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সবগুলো নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বরিশালের কীর্তনখোলা নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলা খেয়াঘাটের তেতুলিয়া নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার সমান উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলার দৌলতখানে মেঘনা ও সুরমা নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তজুমদ্দিনেও সুরমা-মেঘনা নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ঝালকাঠীতে বিষখালী নদী আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে । পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ^র ও পায়রা নদীর পানি দশমিক ২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও বিপদসীমার দশমিক ২২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বিষখালী নদীও আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পাথরঘাটার বিষখালী নদী আগের দিনের সমান উচ্চতায় প্রবাহিত হলেও তা বিপদসীমার দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার উপরেই প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ^র নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২ সেন্টিমার হ্রাস পেলেও বিপদসীমার ছুই ছুই উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে উমেদপুরে কঁচা নদীর পানিও আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও এখনো বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরেই প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পূর্ণিমার ভরা কাটাল চলে যাওয়ায় ফুসে ওঠা সাগর কিছুটা শান্ত হবার সাথে উজানের পানি গ্রহন করতে শুরু করেছে। ফলে সোম থেকে বুধবারের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের ফসলী জমি প্লাবন মূক্ত হবে বলে আশা করছে ওয়াকিবহাল মহল।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT