স্বরূপকাঠির রামচন্দ্রপুরে সরকারী আয়রন ব্রীজ খুলে ফেলায় জনদুর্ভোগ স্বরূপকাঠির রামচন্দ্রপুরে সরকারী আয়রন ব্রীজ খুলে ফেলায় জনদুর্ভোগ - ajkerparibartan.com
স্বরূপকাঠির রামচন্দ্রপুরে সরকারী আয়রন ব্রীজ খুলে ফেলায় জনদুর্ভোগ

3:53 pm , June 29, 2022

স্বরুপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠিতে রেকর্ডীয় খালের উপর সরকারী ভাবে নির্মিত আয়রন ব্রীজ খুলে ফেলায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। রামচন্দ্রপুর গ্রামের মন্মথ মন্ডলের ছেলে ভবতোষ মন্ডলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ। ভবতোষের দাবী ভবন নির্মানের মালামাল নেওয়ার জন্য নৌকা ট্রলার ঢোকানো যায়না বলে খুলেছি। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বিষয়টি জানেন না। চেয়ারম্যান বলেন খুলে মাল নেওয়ারজন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলাম। এলাকাবাসী সূত্রে জনদুর্ভোগের খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে অভিযোগের সত্যত পাওয়া যায়। এলাকার ভবতোষ তার ব্যাক্তিগত বাড়ী নির্মানের জন্য মালামাল নেওয়ার জন্য ট্রলার প্রবেশ করাতে না পেরে সম্প্রতি নির্মিত চল্লিশ ফুট দীর্ঘ ওই ব্রিজটি খুলে মালামাল ফেলে রাখেন। ফলে এলাকার স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়ে সহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন। এলাকার অমুল্য জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারনে বহু আবেদন নিবেদনের পর ব্রিজটি নির্মান করা হয়। ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন তিন /চারশত লোকজন পারাপার হয়। এসময় উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় রতন বেপারির সহযোগিতায় ভবতোষ এহেন ঘৃণিত কাজ করতে সাহস করেছে। এ বিষয় ভবতোষ মন্ডলের কাছে ব্রীজটি খুলে রাখার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানেন আমাদের বাড়ীতে একটা বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানের সংস্কারের কাজ করবো, তাই ইট বালু সিমেন্ট নিতে ব্রীজটির কারনে সমস্যা হয়। তাছাড়া ব্রীজটা দুইফুট উচু করা দরকার তাই ব্রীজটি খুলে ফেলা হয়েছে। এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন স্থানীয় রতনের সাথে আলাপ করে করেছি, এজন্য রতন সব দিক দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেছিলেন। তবে কাজটা করা আমার ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার মেম্বার নাঈমুল ইসলাম চান জানান, আমি অসুস্থ বাড়িতে ছিলাম না । বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম। তবে তার এ কাজটি করা ঠিক হয়নি। ব্রীজটি খুলে ফেলায় দশদিন ধরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছে নৌকা চলাচল করতে পারেনা তাই ব্রীজটি খুলে একটু উচু করে দেয়া হবে। সেটাও দশদিন পূর্বের কথা, ওটা এখনো ঠিক হয়নি ? ব্রীজটি খোলার জন্য আপনার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কিনা? জানতে চাইলে সে বলে না আমাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিলো। আমি বিষয়টি দেখতেছি বলেই রতনকে ফোন দিয়ে গালিগালাজ করতে দেখা গেছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT