আগৈলঝাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ আগৈলঝাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ - ajkerparibartan.com
আগৈলঝাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

3:19 pm , May 12, 2022

আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়ায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াই পুলিশ নিয়ে সদর বাজারে এসি ল্যান্ডের নাজিরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউনে বে-আইনীভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ব্যবসায়িদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। অবৈধ মজুদের অভিযোগে এক ব্যবসায়ির রাখা দুই লিটারের মাত্র ১৮বোতল সয়াবিন তেল পেয়ে তা স্থানীয়দের মধ্যে নাজির বিক্রি করে দেয়ায় বাজারের সকল মুদি ব্যবসায়িরা ভোজ্য তেল বিক্রি করায় অনিহা প্রকাশ করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ তেল না পাওয়ার আশংকা করছেন। বর্তমানে ব্যবসায়িরা ভোজ্য তেল বাড়তি দামে বিক্রি ও কৃত্তিম সংকট ঠেকাতে বুধবার আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজারে ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। তেলের অবৈধ মজুদ ও বাড়তি দাম ঠেকাতে দুপুর সোয়া একটায় মুদি ব্যবসায়ি সুলতান স্টোর, অশোক স্টোর, বিভূতি স্টোর, গোবিন্দ ভান্ডার, মনোতোষ স্টোরসহ মোট ৬টি দোকানে থানা পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে তল্লাশী চালায় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের নাজির সোহেল আমিন। পুলিশ নিয়ে অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নেহের নিগার তনু বা অন্য কোন ম্যজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতি না থাকায় অবৈধভাবে অভিযান নিয়ে বিস্মিত হন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ওই দিন বিকেল সোয়া চারটায় উপজেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে দেয়া অভিযানের একাধিক স্থির চিত্র ও ভিডিও চিত্রেও এসিল্যান্ডের কোন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ি বিভূতি হালদার জানান, আমার দোকানে পুলিশ নিয়ে ঢুকে তল্লাশী করা হয়েছে। দোকানে কোন তেলের মজুদ পায়নি তারা। এক পর্যায়ে আমার গোডাউনে পুলিশ নিয়ে তল্লাশী চালায়। গোডাউনে সিটি গ্রুপের ২ লিটারের ২কার্টন সয়াবিন তেল (১৮পিচ) পেয়ে ৩৯৮ টাকা সরকারী বাজার মূল্যের তেল ৩১৮টাকা করে উৎসুক লোকজনের মধ্যে বিক্রি করে দেয় নাজির সোহেল আমিন। যাতে আমার ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং প্রতি বোতলে ৮০টাকা করে লোকসান হয়। অভিযানে এ্যাসি ল্যান্ড উপস্থিত না থাকায় ১৮পিচ তেল পেয়ে বিষয়টি ফোনে নাজির এ্যাসি ল্যান্ডকে অবহিত করেন। সুলতান স্টোরের মালিক সুলতান বেপারীর ছেলে রিফাত বেপারী জানায় তার দোকানে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায় ভূমি অফিসের নাজির সোহেল আমিন। তবে অভিযানে কোন ম্যাজিস্ট্রেট ছিল না। গোবিন্দ ভান্ডারের মালিক গোবিন্ত বিশ^াস জানায় তার দোকানের দোতলায় উঠেও পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায় ভূমি অফিসের নাজির সোহেল আমিন। অভিযানের সময় এসি ল্যান্ড বা অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট ছিল না। সোহেল আমিন এবং একজন এএসআই ও একজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিল। এভাবে অভিযানে আমাদের ব্যবসায়ি সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার পুলিশ নিয়ে বাজারে অভিযান হলেও ওই অভিযানে কোন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না। ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া পুলিশ নিয়ে একজন নাজির কিভাবে অভিযান পরিচালনা করে এই প্রশ্নে হতবাক ব্যবসায়িসহ এলাকার লোকজন। এসি ল্যান্ডের উপস্থিতি ছাড়া কিভাবে পুলিশ নিয়ে তার অফিসের নাজির সোহেল আমিন ভ্র্যাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন তা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এটা হতে পারে না। তাকে আমি বলেছি অভিযান করতে সে না থাকার কথা নয়। মিডিয়া সেলের স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্রেও এসিল্যান্ডকে দেখা যায়নি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। বিষয়টি তার কাছ থেকে জেনে জানানোর কথা বলে পরবর্তিতে ইউএনও জানান- এসি ল্যান্ড তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। বুধবার অভিযানে থানার এএসআই গৌরাঙ্গ লাল চন্দ জানান, তিনি ও পুলিশ সদস্য হাসান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় এসিল্যান্ড গাড়িতে বসা ছিলেন। বাজারের মধ্যে তাদের অভিযান করতে বলায় তার নাজির অভিযান পরিচালনা করেন। এসি ল্যান্ড অফিসের নাজির সোহেল আমিনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নেহের নিগার তনু অভিযানে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি অভিযানের সময়ে একটি দোকানের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT