নগরীতে দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে নগরীতে দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে - ajkerparibartan.com
নগরীতে দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে

3:12 pm , January 31, 2022

 

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নগরীতে দাম্পত্য কলহ ক্রমে বাড়ছে। সাথে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও। তবে রেজিষ্ট্রিকৃত বিয়ে তালাক রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘটনা সমাধানে সিটি করপোরেশনের যে সামান্য ভুমিকা রয়েছে তা খুব একটা কাজে আসছে না। আইনে স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের নোটিশের অনুলিপি প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তাদের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোন ভুমিকা রাখার সুযোগ নেই। এর বাইরে নি¤œ আয়ের অধিকাংশ মানুষ এখনো বিনা রেজিষ্ট্রেশনে বিয়ে করছেন। তার বিচ্ছেদও সেভাবেই হচ্ছে। এক হিসেবে জানা গেছে ২০২০ সালে নগরীতে ২০৫টি তালাকের নোটিশ পৌছেছে নগর ভবনে। আর পরবর্তী বছরে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৪টি। কিন্তু শতকার ১০ ভাগ ক্ষেত্রেও দাম্পত্য জীবন পূণঃ স্থাপনে নগর ভবনের পদক্ষেপ কাজে আসেনি। সরকারী আইন অনুযায়ী নগর ভবন এসব তালাক নোটিশের অনুলিপি পাবার পরে বিচ্ছেদের নোটিশ দাতা সহ স্বামীÑস্ত্রী উভয়কেই সমঝোতার চিঠি দেন। ৯০ দিনের মধ্যে এ ধরনের সমঝোতা হলে তারা পুনরায় দম্পত্য জীবন শুরু করতে পারেন। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নোটিশ পেয়ে বিচ্ছেদকৃতরা নগর ভবনেরর সংশ্লিষ্ট শাখায় হাজির হচ্ছেন না। ফলে ৯০ দিন পরে স্বাভাবিকভাবেই বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যাচ্ছে। নগর ভবন সূত্রের মতে নোটিশের অনুলিপি পেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বামীÑস্ত্রী উভয়কেই আমন্ত্রন জানান হলেও অর্ধেকেরও বেশীরভাগ তাতে সাড়া দেন না। গত বছর ২৪৪টি তালাক নোটিশের মধ্যে ১০টি ক্ষেত্রেও সমঝোতা সম্ভব হয়নি। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সমঝোতা হয়েছে মাত্র ৪টি। আগের বছরের চিত্রও প্রায় একই। অথচ প্রতিবছরই তালাকের সংখ্যা ২০Ñ২৫% পর্যন্ত বাড়ছে।
বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করা হলে তারা উভয়ই আইন অনুযায়ী প্রতিটি তালাকের বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টার কথা জানান। কিন্তু ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই কোন সমাধান বা সমঝোতায় পৌছান যায়নি বলে হাতাশা ব্যক্ত করেন তারা। এক্ষেত্রে আইন আরো কঠোর করারও তাগিদ দিয়েছেন কয়েকজন আইনজীবী।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT