3:02 pm , January 1, 2022
মোঃ আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ভোলার শিবপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১২ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার নির্বাচনী অফিস ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রতনপুর ও শান্তিরজাট বাজারে ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এর জন্য পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছেন দুই প্রার্থী।সদর উপজেলার শিবপুরের ৫ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ানম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও সতন্ত্র (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিবের কয়েকজন সমথর্কেরর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ২ পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কূপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয় উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জনকে। এদের মধ্যে গুরুতর ১২ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে রতনপুর বাজারে নৌকা প্রতিকের ১টি নির্বাচনী অফিস সহ দুই প্রার্থীর ৪টি নির্বাচনী অফিস ও সতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর উত্তেজিত সমর্থকরা ২ ভাগে অবস্থান নেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন জানান ৬ নং ওয়ার্ডে ওঠান বৈঠক চলাকালে খবর পান তার ৩টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে এবং পিটিয়ে ও কূপিয়ে ১০/১২ জন কর্মীকে আহত করেছে। বিএনপি জামায়াতের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন সিরাজুল ইসলামের । তিনি অভিযোগ করেন ইভিএম ভোটের নিয়ম দেখানোর সময় নৌকার সমর্থকরা গুলি করে হামলা চালায়।
আহতদের হাসপাতালে নেয়ার সময় এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারধর করেছে। তার ১৪/১৫ জন আহত হয়েছে। নির্বাচনী অফিস ভাংচুর কথা তিনি অস্বীকার করছেন।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের নেতৃত্বে পুলিশ, জঅই গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ২ গ্রূপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা জানিয়েছেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের চেস্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুই পক্ষ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতেছিল তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে মোট ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলে প্রতিদ্বিন্দ্বতা হবে জসিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলামের মধ্যে।