তালতলী পাওয়ার প্লান্টে চীনা নাগরিকরা নমুনা পরীক্ষায় নারাজ তালতলী পাওয়ার প্লান্টে চীনা নাগরিকরা নমুনা পরীক্ষায় নারাজ - ajkerparibartan.com
তালতলী পাওয়ার প্লান্টে চীনা নাগরিকরা নমুনা পরীক্ষায় নারাজ

3:08 pm , October 8, 2021

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দক্ষিনাঞ্চলে করোনা সংক্রমন কিছুটা স্থিতিশীল হলেও বরগুনার তালতলীতে নির্র্মানাধীন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চীনা ও বাংলাদেশী কর্মীদের নমুনা পরিক্ষা করতে না দেয়ায় পরিস্থিতি জটিল হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সেখানে ২২ চীনা সহ ২৭ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হবার পরে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ৫টি চীনা কোম্পানীতে কর্মররত কয়েক হাজার দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী ও কর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যথেষ্ঠ দুঃশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। বুধবার নমুনা পরিক্ষায় ৫ বাংলাদেশী সহ ২৭ কর্মীর দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার নির্মানাধীন ঐ প্লান্টে কর্মরত সন্দেহভাজন অবশিষ্ট কর্র্মীদের নমুনা পরিক্ষার জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্টগন কীট নিয়ে হাজির হলেও তাদের কোন সহযোগীতা করেনি দায়িত্বশীল চীনা প্রকৌশলীগন। তারা বিষয়টি নিয়ে ‘ঢাকায় চীনা দুতাবাসে কথা বলতে বলেছেন’ বলেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ সহ জেলা প্রশাসনকে। ইতোমধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে পরবর্র্তি পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বররগুনার সিভিল সার্র্জন জানিয়েছেন, ‘এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে আমরা অবহিত করেছি। তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন। সরকারী দিক নির্র্দেশনার আলোকে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে’ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নমুনা পরিক্ষা সহ পাওয়ার প্লান্টটিতে সব কর্মীদের চিকিৎসার ব্যপারে সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। এদিকে বরগুনা পাওয়ার প্লান্টের বিষয়য়টি বাদে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি গত মাসের শেষ দিক থেকে যে উন্নতি হচ্ছিল, এখনো তা স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৩৭৪ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১১ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের গড়হার এখন ২০.৮২%। তবে গত ৪দিনে কোন মৃত্যু সংবাদ নেই দক্ষিণাঞ্চলে। এনিয়ে চলতি মাসে ১১৬ জন আক্রান্তের মধ্যে দুজনের মৃত্যু সংবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৩৮ জনের নমুনা পরিক্ষায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাড়াল ৪৫ হাজার ৭৫ জনে। এ অঞ্চলে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৭৯ জনের। যারমধ্যে মহানগরীতেই ১০১ জন সহ বরিশাল জেলায় মারা গেছেন ২৩০ জন। মহানগরীতে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সহ বরিশাল জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ছিল ১৮ হাজার ২৫৯ জন। সর্বশেষ হিসেবে পটুয়াখালীতে ৬ হাজার ১৯৮ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১০৯ জন। ভোলাতেও মারা গেছেন ৯১ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৩৩। পিরোজপুরের ৫ হাজার ২৮০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধীক মৃত্যুহারের বরগুনায় ৩ হাজার ৮৯৭ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ৯৭ জন। গড় মৃত্যুহার ২.৪৯%। আর এ অঞ্চলের সর্বাধীক সংংক্রমন হারের ঝালকাঠীতে এপর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৮১ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪ হাজার ৬০৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের গড়হার ২৪.৮০%। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের। আর স্বাস্থ্য বিভাগেরর অনুমিত হিসেবে শুক্রবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় আরো ৪৩ জন সহ সর্বমোট ৪২ হাজার ৭৯২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থতার গড় হার এখন ৯৪.৮৬%।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT