3:27 pm , September 1, 2021
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রোগীর দালালীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সহিদ। রোগীর দালালীর সাথে সাথে মাদক ব্যবসায় চালিয়ে আসছে বলে নগরীর রূপাতলী থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দলে রয়েছে মনির, জহির, লিটন, রুহুল, কালা মানিক, পাগলা মানিক, চান্দু। এরা আবার গড়ে তুলেছে উপদল। আর তাদের দালালী এবং মাদক ব্যবসায় জিম্মি হয়ে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। কাউনিয়া থানার ৫নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বেলতলা চর আবদানী এলাকার বাসিন্দা মৃত খালেক খানের ছেলে হচ্ছে সহিদ। স্থানীয়রা জানান, রূপাতলী থেকে রোগীর দালালী নিয়ন্ত্রন করে আসছে সহিদ। এ জন্য রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে নথুল্লাবাদ এবং লঞ্চঘাট এলাকায় তার দালাল গ্রুপ সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এ জন্য তারা রিকশা ও অটোরিকশার চালক সেজে দীর্ঘদিন ধরে রোগীর দালাল হিসেবে কাজ করে আসছে। তাদের সাথে নগরীর কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সহিদ তার পোষ্য দালালদের মাধ্যমে রোগী ভাগিয়ে ওই সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দিয়ে আসছে। এ জন্য তাকে দেয়া হয় বড় অংকের মাসোয়ারা। এখানেই শেষ নয়। রোগীর দালালীর পাশাপাশি সহিদ মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য সহিদ তার পোষ্যদের ব্যবহার করে আসছে। ওই পোষ্যরা আবার গড়ে তুলেছে উপদল। সেই উপদলের সদস্যরা রূপাতলীসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে একজন স্থানীয় ব্যক্তি পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, দালালরোধে সব সময় আমরা সক্রিয়। এর আগে দালালদের তালিকা করেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলমান।