ইউএনও-ওসি-পুলিশের করা মামলার বাদীসহ অর্ধশত আসামী করে পৃথক দুই মামলা দায়ের ইউএনও-ওসি-পুলিশের করা মামলার বাদীসহ অর্ধশত আসামী করে পৃথক দুই মামলা দায়ের - ajkerparibartan.com
ইউএনও-ওসি-পুলিশের করা মামলার বাদীসহ অর্ধশত আসামী করে পৃথক দুই মামলা দায়ের

3:13 pm , August 22, 2021

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পিআইবিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সিটি মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধারায় সদরের টিএনও এবং তার দেহরক্ষী আনসারের ৫ সদস্যসহ কোতয়ালী মডেল থানার ওসি ও পুলিশের করা মামলার বাদী এসআইকে আসামী করে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বরিশাল অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মাসুম বিল্লাহ পৃথক দুইটি মামলার তদন্ত করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য পুলিশ ইনভেষ্টিগেশন ব্যুরোর (পিআইবি) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার একটির বাদী হয়েছেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও বিসিসি’র প্যানেল মেয়র এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন এবং অপরটির বাদী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুইটি মামলায় প্রধান আসামী হচ্ছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান ও তার দেহরক্ষী ৫ আনসার সদস্য এবং কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম ও সিটি মেয়রসহ আ’লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার বাদী কোতয়ালী মডেল থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক। এছাড়া উভয় মামলায় অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
উভয় মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে সংঘবদ্ধ হয়ে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টাসহ জখম করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকনের করা মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে যে আসামীরা সরকারী চাকুরিজীবি। সরকারী চাকুরি করার সুবাদে অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। যড়যন্ত্রমুলকভাবে জনগনের জান মালের ক্ষতিসাধন করে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করাই তাদের পেশা ও নেশা।
বাদী অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মান সম্মান ক্ষুন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
ধারাবাহিকতায় গত ১৮ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দলীয় পদ-পদবী বিহীন নেতা কর্মিদের টানানো ব্যানার, ফেস্টুন অপসারনে কাজে বাধা প্রধান করে। এছাড়াও ইউএনওর নির্দেশে ব্যানার ফেষ্টুন অপসরনকাজে অংশ নেয়া সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মারধর করে ইউএনওসহ তার আনসার সদস্যরা। এ খবর পেয়ে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় মেয়র তার পরিচয় দেয়ার পরেও ইউএনও উত্তেজিত হয়ে তার সাথে থাকা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম, এসআই শাহজালাল মল্লিকসহ আনসার সদস্যরা সকলের উপর গুলি বর্ষন করে।
বাদী অভিযোগ করেন, ইউএনওর নির্দেশে সিটি মেয়রকে লক্ষ্য করে আনসার সদস্যরা গুলি বর্ষন করে। তখন মেয়রের সাথে থাকা নেতা-কর্মিরা ও সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মানব প্রাচীর করে (মেয়র) তাকে রক্ষা করেন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দলীয় নেতা-কর্মিরা এলে ইউএনও এবং ওস তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষনের নির্দেশ দেয়। এছাড়াও আসামীরা তাদের সঙ্গীর ১০০/১৫০ পুলিশ সদস্যদের এলোপাতারি গুলি বর্ষন ও লাঠিচার্য করে। এতে আওয়ামী লীগের ৫০ নেতাকর্মি আহত হয়। আসামীরা মোটর সাইকেল ভাংচুর করা সহ ১০০টি মোটর সাইকেল নিয়েছে। যার মুল্য কোটি টাকা বলে মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন।
মামলায় বাদী আরো উল্লেখ করেছেন ১নং আসামী দীর্ঘদিন ধরে সিটি মেয়রের শত্রুপক্ষ দ্বারা অবৈধ অর্থে প্রলোভিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে গুরুতর অপরাধ করেছে। সড়ক বাতিতে সকল আসামীকে চিনতে পেরেছেন উল্লেখ করেছেন বাদী। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য কোতয়ালী মডেল থানায় গেলে মামলা নেয়া হয়নি। তাই আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
মামলায় বিসিরি প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ ১১ জনকে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে।
প্রায় একই অভিযোগ এনেছেন অপর মামলার বাদী বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। তিনি মামলায় আরো উল্লেখ করেছেন, ইউএনও ও ওসির হুকুমে করা গুলি বর্ষনে স্বাক্ষী মনির হোসেন, তানভীরের চোখ এবং জিয়াউর রহমান জিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT