3:15 pm , August 1, 2021
এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া ॥ মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙ্গে ফেলার মামলায় কারান্তরীন আসামী বানারীপাড়া উপজেলার ইউপি সদস্য মৃত্যুবরন করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরনজনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন তিনি। ইউপি সদস্য হলেন বিলাস কুমার ওরফে দীপু দত্ত (৪৭)। সে উপজেলার চাখার ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। দীপু দত্ত উপজেলার সাকরাল গ্রামের হিরা লাল দত্তের ছেলে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার হাজতি দিপু দত্ত ৩০ জুলাই উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক কারাগারের সহকারী সার্জন ডাঃ রাকিবুল আহসান দিপু দত্তকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৩১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন দিপু দত্ত। তার লাশের সুরতহাল শেষে নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারী মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের আধা-পাকা ঘর নির্মান কাজ চলাকালে ২৬ টি পিলার ও একটি ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে ওইদিন ইউএনও রিপন কুমার সাহার নির্দেশে চাখার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ বাদশা মিয়া একই এলাকার সুমন কাজীকে প্রধান অভিযুক্ত করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। পরবর্তীতে ওসি (তদন্ত) মোঃ জাফর আহম্মেদ আশ্রয়ন কাজের তদারককারী স্থানীয় ইউপি সদস্য বিলাস কুমার ওরফে দীপু দত্ত, রাম প্রসাদ মন্ডল (৩৩), ইমরান সিকদার (২৮), সাদিক সিকদার এবং মিশকাত মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। এদের মধ্যে হাইকোর্ট থেকে আসামী রাম প্রসাদ জামিন লাভ করে। মামলাটি বর্তমানে বরিশাল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে বিচারাধিন আছে।
এদিকে, দীপু দত্তের মৃত দেহ ময়না তদন্তের পর দীপুর ভাই সঞ্জয় দত্তের কাছে হস্তান্তর করেন। পারিবারের পক্ষ থেকে সঞ্জয় দত্ত জানান, রবিবার বিকেল ৪ টায় পারিবারিক শশ্মানে সৎকার করা হয়েছে।