নতুন সাজে যাত্রী পরিবহনে ফিরেছে এমভি কীর্তনখোলা-২ নতুন সাজে যাত্রী পরিবহনে ফিরেছে এমভি কীর্তনখোলা-২ - ajkerparibartan.com
নতুন সাজে যাত্রী পরিবহনে ফিরেছে এমভি কীর্তনখোলা-২

3:23 pm , July 16, 2021

  •  লঞ্চ চলাচলের সময় যাত্রীরা কম্পন অনুভব করবে না
  •  পুরো লঞ্চ এখন পরিবর্তিত হয়েছে ওয়াইফাই জোনে
  • কেবিনে থাকছে স্মার্ট টেলিভিশন
  • সিড়িতে ব্যবহার করা টাইলস স্পেন থেকে আনা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রায় দেড় বছর পরে নতুন সাজে যাত্রী পরিবহনে ফিরছে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি কীর্তনখোলা-২ লঞ্চ। ঢাকা বরিশাল নৌ পথের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিলাশবহুল এ লঞ্চ আজ শনিবার থেকে যাত্রা শুরু করবে। এর আগে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ রুটে যাত্রী পরিবহন করেছিল লঞ্চটি। গত দেড় বছর ধরে লঞ্চটির সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে আবারো ঢাকা-বরিশাল রুটে ফিরছে বলে জানিয়েছে নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালমা শিপিং লাইন্সের পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস। তিনি জানান, যাত্রী সেবার সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করবে এই লঞ্চটি। যাত্রীর ভ্রমন স্মরনীয় রাখতে যে সকল সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন তার সিংহভাগ পুরন করা হয়েছে।
মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে ২০১২ সালে যাত্রী পরিবহন শুরু করে কীর্তনখোলা-২। ওই সময়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক ও বিলাশবহুল নৌ-যান ছিল এটি। নৌ-পথে যাত্রায় সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য ছিল কীর্তনখোলা-২। শুরুর পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চলাচলের পর লঞ্চটিকে আরো আধুনিকায়নের সিদ্বান্ত নেয়া হয়। এছাড়া দীর্ঘ সময় চলাচলের কারনে কিছু সংস্কারেরও প্রয়োজন হয়। তাই ২০২০ সালের ৪ মার্চ লঞ্চটি সংস্কার ও আধুনিক সাজ সজ্জায় সজ্জিত করতে ডক ইয়ার্ডে আনা হয়। নগরীর চর আবদানী এলাকার নিজস্ব ডক ইয়ার্ডে লঞ্চটির মেরামত ও আধুনিকায়ন কাজ করা হয়েছে। লঞ্চের প্রায় প্রতিটি স্থানে নতুনভাবে সাজ-সজ্জা করা হয়েছে। কাঠ, টাইলস, উন্নতমানের কাচ, ইস্পাতের সমন্বয়ে দৃষ্টিনন্দিত কারুকার্যে করা হয়েছে উপরে ওঠার জন্য প্রশস্ত সিড়ি। সিড়িতে ব্যবহার করা টাইলস স্পেন থেকে আনা হয়েছে। দোতলা ও তিনতলার প্রথম শ্রেনীতে স্থাপন করা হয়েছে সম্পূর্ন নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র। বিজনেস ক্লাস, ভিআইপি, ফ্যামিলি ভিআইপি ও ডিলাক্স কেবিনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে সম্পূর্ন আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র। ভিআইপি জোনের পরিধি বড় করা হয়েছে । এছাড়াও বড় করা হয়েছে ভিআইপি জোনের ডাইনিংয়ের স্থান। সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বমানের আসবাবপত্র। লঞ্চে ব্যবহৃত দরজা চায়না থেকে আনা হয়েছে। আকর্ষনীয় ডিজাইনের এসব দরজা বেশ মজবুত। লঞ্চের পুরনো সাজ সজ্জা পরিবর্তন করে আধুনিক করা হয়েছে। লঞ্চ পুরনো হলেও যাত্রীরা কোনভাবেই অনুভব করতে পারবে না। লঞ্চের যাত্রীদের কাছে সুক্ষ্ম বিষয় পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে নতুনত্ব। পুরো লঞ্চ এখন পরিবর্তিত হয়েছে ওয়াইফাই জোনে। কেবিনে থাকছে স্মার্ট টেলিভিশন। যা যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবেন তাদের মনের মতো করে। এগুলো প্রথম শ্রেনীর সুবিধা, ডেকের যাত্রীদের জন্য উন্নত করা হয়েছে নিচতলার কেন্টিন, ডেকে বাড়ানো হয়েছে টেলিভিশন এর সংখ্যা। ঢাকা বরিশাল রুটে কীর্তনখোলা-২ লঞ্চটি অত্যন্ত টেকসই এবং সুরক্ষিত একটি লঞ্চ বলে জানান মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস। তিনি বলেন, এই লঞ্চের ব্যবহৃত প্রতিটি ইস্পাত অন্যান্য লঞ্চের তুলনায় কয়েকগুন পুরু। যা এই লঞ্চটিকে আরও সুরক্ষিত করেছে। এই লঞ্চ চলাচলের সময় যাত্রীরা কম্পন অনুভব করবে না। লঞ্চের আগের শক্তিশালী ইঞ্জিনটিকে আরও উন্নত করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নতুনভাবে যাত্রা করবে লঞ্চটি। লঞ্চে রয়েছে ৬২ টি সিঙ্গেল কেবিন, ৭০ টি ডাবল কেবিন, ৬ টি বিজনেস ক্লাস, ৬ টি ভিআইপি, ফ্যামিলি ভিআইপি ৪ টি এবং ২ টি ডিলাক্স কেবিন। দক্ষিনাঞ্চলের নৌ-পথে যাত্রী পরিবহনে আবারো অন্য মাত্রা আনবে কীর্তনখোলা-২ লঞ্চটি বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন মঞ্জুরুল আহসাম ফেরদৌস। আজ থেকে সম্পূর্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চটি যাত্রা শুরু করছে বলেও জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT