উপজেলা শহরে সেনা টহল : সিটিতে ২০ ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলা শহরে সেনা টহল : সিটিতে ২০ ভ্রাম্যমান আদালত - ajkerparibartan.com
উপজেলা শহরে সেনা টহল : সিটিতে ২০ ভ্রাম্যমান আদালত

2:22 pm , July 1, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লকডাউনের কঠোর বিধি নিষেধে উপজেলা শহরগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে টহল কার্যক্রম শুরু করেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি শুধু মাত্র বরিশাল সিটি এলাকাতেই কঠোর বিধি নিষেধ মানাতে মাঠে রয়েছে ২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আওতায় ২০টি ভ্রাম্যমান আদালত। আর অহেতুক বাহিরে বের হলে আটকের হুশিয়ারী দিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। বিধি-নিষেধের ১ম দিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসন বরিশাল’র আয়োজনে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে করোনা মহামারী সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিব আহমেদ,(সার্বিক)প্রশান্ত কুমার দাস, (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সোহেল মারুফ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ, রকিবুর রহমান খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরিশাল সদর মোঃ মুনিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধের মধ্যে কোথাও কঠোরতা আবার কোথাও ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা গেছে নগরীতে। পাশাপাশি সড়কের কোথাও যাচাই-বাছাই করে গাড়ি ছাড়া হলেও, অন্য সড়কে নির্দ্বিধায় চলছে গাড়ি। এক সড়কে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকলেও অন্য সড়কে নেই তেমন কোনো তৎপরতা। নগরীর সদর রোড, কাকলির মোড়, সাগরদী পোলসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও নগরীর কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে আটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, রিক্সায় যাত্রী বহন করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা গেছে রিক্সা থামিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ থাকলে কাউকে আটকানো হচ্ছে না। তবে মোটরসাইকেলগামী যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুইজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে দিকে সাগরদী পোল সংলগ্ন এলাকায় একেবারেই ভিন্ন চিত্র। এই সড়কে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে প্রাইভেটকার, সিএনজিকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে না। ফলে এই সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাইভেটকার-সিএনজি ও রিক্সা। নগরীর অনেক স্থানে নেই তেমন কঠোরতা। সড়কে গাড়ি বা সিএনজি নিয়ে বের হওয়া অধিকাংশ মানুষই মেডিকেলের কারণ দেখাচ্ছেন। সত্যতা যাচাই করে সহজে ছাড়াও পাচ্ছেন তারা। কেউ কেউ মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের। বাইকে দুইজন যাত্রী চলাচল নিষেধ থাকলেও চলাচল করছেন অনেকে। দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। কেউ যৌক্তিক কারণে বের হলে আমরা যেতে দিচ্ছি। তবে কারণ ছাড়া তেমন কেউ বের হচ্ছেন না। আমরা গাড়িগুলো থামিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। কবির নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমার মা হাসপাতালে ভর্তি, আমি যাব সাগদী হাসপাতালে। কিন্তু রিকশার ভাড়া অনেক বেশি। তাই হেঁটে হেঁটে কাউনিয়া থেকে আসলাম। তিনি আরো বলেন, অথচ প্রাইভেটকার, সিএনজি, মটরসাইকেল কিন্তু রাস্তায় চলছে। এভাবে হলে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের সমস্যা। নিয়ম করলে তো কঠোর করা উচিত, কারো জন্য কঠোর কারো জন্য সহজ এটা ঠিক না।’ বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, আমরা গত তিনদিন যাবত মাক্স বিতরন সহ প্রচার-প্রচারনা চালিয়েছি। আজ থেকে কোন মাক্স বিতরন নয়। এখন থেকে কঠোরভাবে দায়ীত্ব পালনকালে জেল-জরিমানা করা হবে এখানে কোন ছাড় দেয়া হবে না। নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় লকডাউন ও শাটডাউন বাস্তবায়নে নগরীতে আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ২০ জন ম্যাজিষ্ট্রেট দায়ীত্ব পালন করবেন। একই সময়ে বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকতারাও তাদের কাজ করে যাবেন। পাশাপাশি মাঠে সেনা বাহিনী ও বিজিবি টিমও কাজ করবে। কোতয়ালী মডেল থানা ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, নগরীর রুপাতলী বাসস্টান্ড, চৌমাথা, কালিজিরা, বাংলা বাজারসহ নগরীর অন্তত জনবহুল এলাকায় আমাদের দশটি পুলিশের মোবাইল টিম সহ আটটি চেক পোষ্ট বসিয়ে তারা কাজ করছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT