জনগণের দুর্দশা লাঘবে কাজ করছেন মানবতার মা -প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জনগণের দুর্দশা লাঘবে কাজ করছেন মানবতার মা -প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক - ajkerparibartan.com
জনগণের দুর্দশা লাঘবে কাজ করছেন মানবতার মা -প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

3:31 pm , May 6, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা এবং বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য উত্তরসূরি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের প্রচেষ্টায়, তা বাস্তবায়নে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য যে উপহার আজ প্রদান করা হয়েছে সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী ৩৬ লাখ লোককে আড়াইহাজার করে সরাসরি তাদের মোবাইল ফোনে টাকা দিয়েছেন এটা পৃথিবীর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। তারপর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ৫ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সাহায্য দেয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী সবসময় আপনাদের কথা চিন্তা করেন। তিনি জনগনের কথা চিন্তা করেন বিধায় আমরা ভালো আছি। পৃথিবীর অন্যান্যযে কোন দেশের থেকে আমরা সকলে মিলে এদেশে ভালো আছি এটা বলতে পারি। গতকাল বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দেড় হাজার নি¤œ আয়ের খেটে-খাওয়া দরিদ্র, দুঃস্থ, ভাসমান এবং অসচ্ছল মানুষের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রী বিতরণ আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের কাজ হলো দুঃখ দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করা এবং প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রনালয়ের কোন প্রকল্পে না বলেন না। করোনাকালে গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে তাদের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে, বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে একটা ব্যতিক্রম আছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কল-কারখানা এখনো চালু আছে, বিদেশ যে সব শ্রমিকের যাওয়ার কথা তাদের কিন্তু স্পেশাল ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা হিসেবে যে আপনাদের কথা চিন্তা করছেন, তাকেও আপনারা সহযোগীতা করুন। সহযোগীতা মানে- আপনাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, আর এজন্য মাস্ক পরতে হবে সবাইকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারতের অবস্থা দেখুন চারমাস আগে কি ছিলো, এর এখন সেখানের অবস্থা কি? আপনারা অনেকেই মনে করেন করোনার সংক্রমন কমে আসছে, কিন্তু এটি যে কোন সময় ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। আজ বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে চলে আসছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশে পৌছাবো। আমরা যদি সমৃদ্ধশালী হিসেবে দেশকে দেখতে চাই তাহলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই হবে। সকলে দয়া করে মাস্ক পরবেন, এক জায়গাতে বেশি লোক সমাগম হবেন না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম দিক থেকেই আমি নিজে ত্রাণ, খাদ্য সহয়তা দেয়া শুরু করেছি, সচেতনতামূলক লিফলেট দেয়া শুরু করেছিলাম। আমি শুরু করার পর জেলা প্রশাসন শুরু করেছিলো। আজ যে জায়গাতে করোনা ইউনিটটি চালু করা হয়েছিলো সেটিও জেলা প্রশাসনকে নিয়ে আমরা নির্ধারন করেছিলাম। এরপর সেখানে ধীরে ধীরে অনেক কিছু সংযোজন হয়েছে। বরিশালের ভালোর জন্য আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে যে শাসন করেছেন, সেজন্য আজ এখানে করোনার সংক্রমণ কমে আসছে। এজন্য হাফ ছেড়ে চললে হবে না, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় দুরত্ব বজায় রাখত হবে এবং এক জায়গাতে বেশি লোক সমাগম করা যাবে না। তা না হলে ঈদের পরের দিন থেকে করোনার সংক্রম বাড়তে থাকবে। তাই আপনাদের আগেই সতর্ক করে দিচ্ছি।
‘জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার), জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিব আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ প্রমুখ। দেড়হাজার মানুষকে দেয়া উপহার সামগ্রীতে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, চিনি, সেমাই।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT