1:30 pm , March 21, 2021
আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন চার দলীয় ঐক্য জোটের অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী, ইউপি সদস্য সঞ্জয় রায়ের মা কমলা রানী রায় (৬৩) আর নেই। দীর্ঘদিন যাবত হার্ট, লিভার, কিডনী, ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে শুক্রবার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি নাতনীসহ শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। শনিবার দুপুরে কমলা রানীর নিজ বাড়িতে স্বামীর পাশে তাঁর অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক সমবেদনা জানিয়েছেন বরিশাল -১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ নির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ্, আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন।
প্রসংগত, ২০০১ সালে চার দলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর পরই দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো আগৈলঝাড়ার রাজিহার গ্রামে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটসহ অবর্ণনীয় নির্যাতনের মহা তান্ডব চালায় বিএনপি নেতা কর্মীরা। সেই তান্ডবের শিকার হয়ে তৎকালীন ইউপি সদস্য কমলা রানী রায় প্রাণ বাচাতে আশ্রয় নেন গোপালগঞ্জের রামশীল গ্রামে। জোট সরকারের তৎকালীন স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন শপথ না নিয়েই ছুটে আসেন আগৈলঝাড়ায়। নির্যাতনের মিথ্যা বর্ণনা দিতে বিএনপি নেতাদের সহায়তায় ধরে আনা হয় নির্যাতিতা কমলা রানীকে। সভামঞ্চে তৎকালীন এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের উপস্থিতিতে তিনিসহ এলাকার নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে “হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেন কমলা।” সেই ইতিহাসের স্বাক্ষী কমলা রানী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে পরিচিতি পান বিশ্ব মিডিয়ায় হাটে হাড়ি ভাঙ্গা কমলা হিসেবে।