রাষ্ট্রয়াত্ব যমুনার ডিপো থেকে কম পেট্রোল সরবরাহ করার অভিযোগ রাষ্ট্রয়াত্ব যমুনার ডিপো থেকে কম পেট্রোল সরবরাহ করার অভিযোগ - ajkerparibartan.com
রাষ্ট্রয়াত্ব যমুনার ডিপো থেকে কম পেট্রোল সরবরাহ করার অভিযোগ

3:16 pm , December 28, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাষ্ট্রায়াত্ব জ্বালানী তেল বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানীর নগরীর ডিপো থেকে প্রত্যেক লরি ও ব্যারেলে কম পেট্রোল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিপোর ইনচার্জ ম্যানেজার ইমাম হোসেন লরি চালক ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে পেট্রোল কম দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন ৯০০ লিটার পেট্টোল কম দিয়ে চোরাই পথে বিক্রি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বিআইপি সড়কে যমুনার ডিপো থেকে বিভাগের ৬ জেলাসহ ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরসহ ১০ জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে পেট্টোল বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০টি লরি ডিপো থেকে পেট্টোল নেয়। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা ব্যারেলে করে পেট্টোল ও ডিজেল নেয়।
অভিযোগ উঠেছে, লরি শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে ম্যানেজার ইমাম হোসেন কম তেল নিতে বাধ্য করেন। কোন ব্যবসায়ী এর প্রতিবাদ করলে তাদের তেল দেয়া হয় না। এছাড়াও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দাম রাখেন ম্যানেজার ইমাম হোসেন। এভাবে দুর্নীতি করে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন তিনি। গতকাল সোমবার ডিপো এলাকায় গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ডিপো থেকে তেল নিয়ে আসা বানারীপাড়ার ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র কুন্ডু বলেন, প্রতি সপ্তাহে ডিপো থেকে ১০ ব্যারেলে ২০০ লিটার পেট্রোল নেন। প্রতিবার প্রতি ব্যারেলে ২ থেকে ৩ লিটার পেট্টোল কম পান তিনি। ওই হিসেবে ১০ ব্যারেলে অন্তত ২০ থেকে ৩০ লিটার কম পেট্টোল পাচ্ছেন তিনি। এর প্রতিবাদ করলে ডিপো থেকে পেট্টোল দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে কম তেল নিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি লিটার ৮১ টাকা ৫৬ পয়সা করে রাখেন ম্যানেজার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লরি চালকরা জানান, প্রতি লরির তিনটি চেম্বারে ৯ হাজার লিটার পেট্রোলের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ লিটার করে কম দেয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার লিটার কম দেয়ার মাধ্যমে গড়ে প্রায় ১ লক্ষা টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া কোন ব্যবসায়ী যদি ৬ হাজার লিটার ডিজেল নেয়। তাদেরকে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ লিটার ভেজাল নিতে বাধ্য করেন ম্যানেজার। এর প্রতিবাদ করলে ডিজেল দেয়া বন্ধ করে দেন।
এদিকে লরি চালকরা অভিযোগ করেন কম পেট্টোল দেয়ার প্রতিবাদ করলে মালিকদের কাছে নালিশ দিয়ে চাকুরিচ্যুতির হুমকি দেয় ম্যানেজার। অন্যদিকে পেট্টোল কম নেয়ার অভিযোগে মালিক তাদের বেতন থেকে কর্তন করেন।
ডিপো এলাকায় গিয়ে লরি শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে চাইলে সকলে চাকুরি হারানোর ভয়ে সরাসরি কেউ কোন তথ্য দিতে চায়নি। এক পর্যায়ে তারা বলেন ডিপো থেকে পেট্টোল নিয়ে বের হওয়ার পর আপনারা পরিমাপ করে দেখেন। তাহলে সত্য জানতে পারেন। ম্যানেজার ইমাম হোসেনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত করলে তার অবৈধ পথের আয়ের সকল তথ্য পাওয়া যাবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রমিকরা জানিয়েছেন। এছাড়াও তারা আরো জানিয়েছেন, ইমাম হোসেন সব সময় হুমকি দেয় তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এ বিষয় ডিপো ম্যানেজার ইমাম হোসেন বলেন, লরিতে তেল কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT