বিভাগে ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম হলেই কঠোর ব্যবস্থা বিভাগে ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম হলেই কঠোর ব্যবস্থা - ajkerparibartan.com
বিভাগে ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম হলেই কঠোর ব্যবস্থা

2:58 pm , December 26, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগের ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে অনিয়ম ধরা পড়ায বরিশাল বিভাগ জুড়ে ১৮ ডিলারকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সেই সাথে ৯ ডিলারের ডিলারশীপ কার্যক্রম ১০দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সূত্র মতে, মহামারী করোনা কালে খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরে বিশেষ ওএমএস চাল বিক্রয় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগণের খাদ্য সহায়তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। গেলো জুলাই মাস হতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ হলেও সাধারণ ওএমএস এ ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রয় চলমান রয়েছে। খোলা বাজারে মোটা চালের বাজার দর প্রায় ৪৫ টাকা ও আটা ৩০ টাকার উর্ধ্বে থাকায় খাদ্য বিভাগের ওএমএস এ সুলভ মূল্যে চাল ও আটা ক্রয়ের জন্য বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর জনসমাগম দেখা যায়। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন এর সততা ও আন্তরিকতায় ওএমএস খাতে সরকারি বরাদ্দের সমুদয় চাল ও আটা ভোক্তাগনের নিকট বিক্রয়ে ডিলারগন বাধ্য হচ্ছে। তিনি ও তাঁর দপ্তর হতে গোপনে ও আকস্মিক সফরে কর্মকর্তাগণ বের হয়ে বিভিন্ন জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরের ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হন ও বিক্রয় কাজ মনিটরিং করেন। বিভিন্ন জেলায় তার পরিদর্শন কালে ডিলারের দোকানে মজুতের ঘাটতি থাকায় ডিলারদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে ও ওএমএস কার্যক্রম হতে সাময়িক ভাবে বিরত রাখা হচ্ছে। বরিশাল মহানগরে ১৯ জন, পটুয়াখালী জেলায় ১০ জন, বরগুনা জেলায় ১১ জন, ঝালকাঠি জেলায় ১০ জন, পিরোজপুর জেলায় ৯ জন এবং ভোলা জেলায় ১০ জনসহ বরিশাল বিভাগে মোট ৬৯ জন ওএমএস ডিলার নিয়োজিত আছে। বরিশাল মহানগরে মাসিক চাল ও আটার বরাদ্দ ২৩১ মে.টন এবং অন্যান্য ৫ টি জেলা শহরের প্রত্যেকটিতে চাল ও আটার বরাদ্দের পরিমাণ যথাক্রমে ১৬৯ মে.টন এবং ১৬৯ মে.টন করে। বর্তমানে জেলা শহরগুলোতে দৈনিক ৫ মে.টন আটা ও ৫ মে.টন চাল বিক্রয়ের জন্য ৯-১০ জন ডিলার নিয়োজিত রয়েছেন ফলে কোন জেলার ২/১ জন ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত করা হলেও মোট বিতরনে কোন সমস্যা হচ্ছে না। বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে বরাদ্দকৃত চাল ও আটা ডিলারের দোকানে মজুত কম পাওয়ায় পটুয়াখালী জেলার ৬ জন, ঝালকাঠী জেলার ২ জন, বরিশাল মহানগরের ৪ জন, পিরোজপুর জেলার ৫ জন, ভোলা জেলার ১ জন ডিলারকে মোট ৪,০০,৩০৪ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি নির্দেশাবলী লঙ্ঘন করায় বরগুনা জেলার ২ জন, পিরোজপুর জেলার ২ জন, বরিশাল মহানগরের ৪ জন ও পটুয়াখালী জেলার ১ জন ডিলারের ডিলারশীপ কার্যক্রম সাময়িক ভাবে ১০দিন হতে ২ মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করায় সকল জেলার ডিলারগন সতর্কতার সাথে আটা ও চাল বিতরণ করায় ভোক্তগন খুবই খুশি ও সরকারি খাদ্যশস্য স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করতে পারছেন। বরিশাল মহানগরের কয়েকজন ডিলার অনিয়ম ও দূর্নীতি করতে না পারায় বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা এবং খাদ্য বিভাগীয় সকলের কাছে তিনি খুবই প্রশংসিত ব্যক্তি। কুচক্রী ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সাধারণ জনগণের।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT